Kunal Ghosh: জেলে কেন পাঠানো হবে না? কারণ দর্শাতে এসে আদালতে যা দেখলেন কুণাল…

Kunal Ghosh: হাইকোর্ট থেকে বেরিয়ে কুণাল বলেন, "আদালত অবমাননার একটি মামলায় আমার বিরুদ্ধে রুল জারি হয়েছিল। বলা হয়েছিল, আজ সাড়ে ১২টার সময় তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চের সামনে উপস্থিত থাকতে হবে। এবং কেন আমাকে জেলে পাঠানো হবে না কিংবা শাস্তি দেওয়া হবে না, সশরীরে উপস্থিত থেকে তার কারণ দর্শাতে হবে।"

Kunal Ghosh: জেলে কেন পাঠানো হবে না? কারণ দর্শাতে এসে আদালতে যা দেখলেন কুণাল...
কী বললেন কুণাল ঘোষ?

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Jun 16, 2025 | 2:11 PM

কলকাতা: আদালত অবমাননার মামলায় সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে হাজিরা দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় হাইকোর্টে তিন বিচারপতির বেঞ্চের সামনে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল। নির্দেশ মেনে এদিন দুপুরে হাইকোর্টে হাজির হন কুণাল। কিন্তু, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিন বিচারপতির বেঞ্চের একজন অনুপস্থিত থাকায় মামলার শুনানি হয়নি।

এদিন হাইকোর্ট থেকে বেরিয়ে কুণাল বলেন, “আদালত অবমাননার একটি মামলায় আমার বিরুদ্ধে রুল জারি হয়েছিল। বলা হয়েছিল, আজ সাড়ে ১২টার সময় তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চের সামনে উপস্থিত থাকতে হবে। এবং কেন আমাকে জেলে পাঠানো হবে না কিংবা শাস্তি দেওয়া হবে না, সশরীরে উপস্থিত থেকে তার কারণ দর্শাতে হবে। আমি আজকে এসেছিলাম। কিন্তু, বিশেষ বেঞ্চের একজন বিচারপতি চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনও জরুরি প্রয়োজনে বেঞ্চ বসেনি। তবে রুলে লেখা ছিল, সাড়ে ১২টায় আসতে হবে।”

সেইমতো তিনি হাইকোর্টে আসেন জানিয়ে কুণাল বলেন, “আজ আমার তরফে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অয়ন চক্রবর্তী, রাহুল মিশ্র। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেন, আমার মক্কেল এসেছে। কিন্তু, বেঞ্চ বসছে না। তখন বিচারপতি বলে দিলেন, আমি যে এসেছিলাম, রেজিস্ট্রার জেনারেলকে আমার উপস্থিতি নথিভুক্ত করাতে। আমার উপস্থিতি রেকর্ড করিয়ে দেওয়া হল। আমার চলে যেতে কোনও বাধা নেই।”

প্রসঙ্গত, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর অবমাননা, আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও ফিরদৌস শামিমকে হেনস্থার অভিযোগে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই কুণাল ঘোষ-সহ আরও ৭ জনের বিরুদ্ধে রুল জারি করে আদালত। আদালতের নির্দেশ মেনে আগেই আদালতে হাজির হয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। ফৌজদারি আদালত অবমাননা হয়েছে বলে উত্তর চায় আদালত। সেই উত্তর অভিযুক্তরা কেউ না দেওয়ায় প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রুল জারি করে কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। নোটিস পাঠানো হয়। কেন তাঁকে জেলে পাঠানো হবে না বা শাস্তি দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় ওই নোটিসে। এদিন কুণালকে হাইকোর্টের তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চের সামনে উত্তরসহ সশরীরে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। সেইমতো তিনি উপস্থিত হন।