কলকাতা : রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে যে অনিয়মের অভিযোগ উঠছে, সেই প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। স্বাভাবিক। রাজনৈতিক অবস্থানের ভিত্তিতে তাই তো হওয়ার কথা। কিন্তু ব্রাত্য বাবুর পাশে দাঁড়াতে গিয়ে, রাজ্যের শাসক দলের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কোর্টে বল ঠেললেন না তো কুণাল ঘোষ? প্রশ্নটা ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে বঙ্গ রাজনীতিতে। বেশ গুঞ্জনও ছড়িয়েছে। শুক্রবার বিকেলে এক সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষকে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এই সব ঘটনা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর জমানায় ঘটেনি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী। তিনিই দলের মহাসচিব। যাবতীয় ব্যাখ্যা তিনিই দিতে পারবেন।”
কুণাল ঘোষের কথায়, “শিক্ষক নিয়োগ মামলা নিয়ে কিছু বলতে পারব না। মুখ্যমন্ত্রী দশ জনের একটি কমিটি তৈরি করে দিয়েছিলেন। এত বড় সিস্টেম। ৯৯ শতাংশ কাজ ঠিক হয়। এক শতাংশ ভুল হতে পারে। এবিষয়ে যা বলার তৃণমূলের মহা সচিব এবং সেই সময়ের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলবেন।” অর্থাৎ, কুণাল ঘোষের স্পষ্ট কথা, ব্রাত্য বসুর জমানায় কিছু হয়নি। তাহলে কি ব্রাত্য বসুর আগের জমানার দিকেই বল ঠেলতে চাইলেন তৃণমূল মুখপাত্র? বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীকে এভাবে ক্লিনচিট দিতে কীসের ইঙ্গিত দিতে চাইলেন কুণাল বাবু? বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতোর।
বিষয়টি নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন,”পার্থ চট্টোপাধ্যায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন। আমরা জেনে এসেছি মুখ্যমন্ত্রীর পরেই তিনি সবথেকে হেভিওয়েট মন্ত্রী। আজ যদি তৃণমূলের কোনও দায়িত্বশীল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে তির চালান, তাহলেই বোঝা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস বর্তমানে কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। দুর্নীতির সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস বর্তমানে সমার্থক। উপর থেকে নীচ পর্যন্ত প্রত্যেকে এই নিয়োগের বিষয়ে জানতেন এবং প্রত্যেকে এর সঙ্গে যুক্ত। কারও আপ্ত সহায়ককে বা কোনও প্রাক্তন মন্ত্রীকে বা কোনও বিশেষ পদাধিকারীর দিকে আঙুল তুলে এই ব্যাপক দুর্নীতি থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরানো যাবে না।”
আরও পড়ুন : Suvendu Adhikari: স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিসের শুনানি আপাতত বন্ধ, সাসপেনশনে শাপে বর শুভেন্দুর
আরও পড়ুন : Jagdeep Dhankhar : মাথা ঘোরা ও স্নায়ুর সমস্যা নিয়ে বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজিতে রাজ্যপাল