
কলকাতা: বেশ কিছুদিন ধরেই দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন হুমায়ন কবীর। দলের সিদ্ধান্তেও ‘না খুশ’ ভরতপুরের বিধায়ক। গত মাসে তিনি দাবি করেছিলেন, দলীয় নেতাদের একাংশই নাকি রাতের অন্ধকারে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে ভেট পাঠায়। আর এবার পরীজাদা কাশেম সিদ্দিকীকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্তও ভাল চোখে দেখলেন না তিনি। এছাড়া আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের আসন সংখ্যা কমে যাবে বলেও দাবি করেছেন তিনি। এরপরই হুমায়ুনকে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। ‘তৃণমূলে যতদিন আছে’ বলে কী বোঝাতে চাইলেন কুণাল?
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে বলে কুণাল ঘোষ স্পষ্ট বলেন, কোন কেন্দ্রের বিধায়ক কী বললেন, তাতে তৃণমূলের কিছু যায় আসে না। এমনকী হুমায়ুনকে বন্ধু বলে সম্বোধন করেও কুণাল বলেন, ‘অসুবিধা হলে ছেড়ে দিক। কেউ বারণ করছে না।’
কুণাল ঘোষের বক্তব্য, হুমায়ুন কবীরকে যারা ভোট দিয়েছে, তারা মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের প্রতিনিধি হিসেবেই ভোট দিয়েছে, এটা ভুলে গেলে চলবে না। এরপরই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন কুণাল ঘোষ।
কুণাল বলেন, “যতদিন তৃণমূলে আছেন, ততদিন এরকম একটু বলবেন। যেদিন ওঁর মুড হবে, সেদিন উনি অন্য কিছু ভাববেন, অন্য কারও ফাঁদে পা দেবেন।” কুণালের কথায়, ভরতপুরের বিধায়ক এখনও তৃণমূলের আছেন, ভবিষ্যতেও তৃণমূলেরই থাকবেন। হুমায়ুনের বক্তব্য সম্পর্কে কুণাল আরও বলেন, “ওঁর কিছু বলার থাকলে দলকে বলুন। এভাবে বলবেন না। বারে বারে দল বদল করা ভাল কথা না।” উল্লেখ্য, ২০১৩ সাল পর্যন্ত কংগ্রেসে ছিলেন হুমায়ুন কবীর। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন।