AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Digha Jagannath Temple: হত্যা করা হয়েছিল চৈতন্যদেবকে? অন্তর্ধান রহস্য ভেদে অনুসন্ধানের দাবি কুণালের

Kunal Ghosh: ঐতিহাসিকরা বলে থাকেন শেষবার নাকি পুরীতেই দেখা গিয়েছিল শ্রী চৈতন্যদেবকে। কিন্তু তারপর যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কেউ কেউ মনে করেন সম্ভবত পুরীর সেবকদের হাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। কেউ আবার বলেন, ঐশ্বরিক ক্ষমতাবলেই ধরিত্রীতে অদৃশ্য হয়েছিলেন তিনি।

Digha Jagannath Temple: হত্যা করা হয়েছিল চৈতন্যদেবকে? অন্তর্ধান রহস্য ভেদে অনুসন্ধানের দাবি কুণালের
Image Credit: ফাইল চিত্র
| Edited By: | Updated on: May 04, 2025 | 8:59 PM
Share

কলকাতা: তদন্তের পাল্টা তদন্ত? দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরির পর এবার বাংলার ধর্মীয় বিপ্লবের জনক শ্রী চৈতন্যদেবের অন্তর্ধান রহস্যভেদ করতেই আসরে নেমে পড়ল তৃণমূল শিবির। রবিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শত প্রাচীন সেই ঘটনার ‘পুনর্নিমাণের’ দাবি তুললেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

এদিন তিনি লেখেন, ‘মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের অন্তর্ধানরহস্য নিয়ে আবার প্রশ্ন তোলার সময় এসেছে। চৈতন্যদেবকে কি হত্যা করা হয়েছিল? পুরীতে কী হয়েছিল তাঁর সঙ্গে? পুলিশি তদন্তের হয় তো আর কোনও অবকাশ নেই। কিন্তু ইতিহাসবিদ, গবেষক, বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কোনও প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে অনুসন্ধান হতেই পারে। নেতাজির অন্তর্ধানরহস্য নিয়ে এত তদন্ত, বাংলার আরেক ঘরের ছেলে চৈতন্যদেবের মৃত্যু বা অন্তর্ধান রহস্যের খাতাটাও খোলা জরুরি।’

ঐতিহাসিকরা বলে থাকেন শেষবার নাকি পুরীতেই দেখা গিয়েছিল শ্রী চৈতন্যদেবকে। কিন্তু তারপর যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কেউ কেউ মনে করেন সম্ভবত পুরীর সেবকদের হাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। কেউ আবার বলেন, ঐশ্বরিক ক্ষমতাবলেই ধরিত্রীতে অদৃশ্য হয়েছিলেন তিনি। তবে গোটাটাই ধারণা, কোনও যুক্তিযুক্ত মতামত নেই। তাই সমস্ত ইতিহাসটাই কয়েকশো বছর ধরে রহস্যাবৃত্ত। যা এবার খোলার দাবিতে আসরে ঘাসফুল শিবির।়

কিন্তু বেছে বেছেই এই সময়েই অনুসন্ধানের দাবি কেন? ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন, এটা আসলে তদন্তে পাল্টা তদন্তের কৌশল। শুভেন্দুর মুখ হয়ে নিমকাঠ নিয়ে যে বিতর্ক ছড়িয়েছে শুক্রবার সেই প্রসঙ্গেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ওড়িশা সরকার। এদিন পড়শি রাজ্যের আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দ্রন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের কর্তৃপক্ষ চিঠি পাঠিয়ে গোটা ঘটনার ‘অন্তর্বর্তী তদন্ত’ করার ‘নির্দেশ’ দিয়েছেন।

এরপরই রাজ্যের আকাশে তৈরি হয়েছিল আশঙ্কার মেঘ। জল্পনা চলছিল, তবে কি দিঘার বিগ্রহের নিমকাঠ এসে পরীক্ষা করবেন ওড়িশার মন্দির কর্তৃপক্ষ? তবে সেই চিঠি সকলের সামনে প্রকাশ্যে আসার পর জানা গিয়েছে এমন কোনও ঘটনা ঘটছে না। বঙ্গ বিজেপির দাবি, রাজেশ দয়িতাপতি নিজেই জানিয়েছিলেন নবকলেবরের কাঠ এনে দিঘার বিগ্রহ তৈরি হয়েছে। তাই ওই বিষয়ে তদন্তের প্রয়োজন নেই। কিন্তু দয়িতপতি-সহ পুরীর মন্দিরের আর কারা এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, সেটাই তদন্তের।