
কলকাতা: সবপুজো কমিটি পাবে না পুজোর অনুদান। আগেই পুজোর অনুদান নিয়ে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চের স্পষ্ট নির্দেশ যে সমস্ত ক্লাব গত বছরের অনুদান পাওয়ার পর কোনও হিসাব দেয়নি, তাদের এবার কোনওভাবেই এবার অনুদান দেওয়া যাবে না। সোজা কথায় আগে হিসাব, পরে অনুদান। আদলতের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তবে এই ইস্যুতে বিরোধীদের তুলোধনা করতে ছাড়লেন না।
হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছেন কুণাল
বসেছিলেন সাংবাদিক বৈঠকে। সেখানেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের প্রসঙ্গ উঠতেই কুণাল বললেন, এই নিয়ম রাজ্য প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই চালু রয়েছে। এরপরই তিনি বলেন, “কলকাতা হাইকোর্ট যে পুজোর অনুদান চালু রেখেছেন এটা খুবই ভাল বিষয়। আমি সম্পূর্ণ মর্যাদা দিয়ে বলছি ওনারা যেটা বলেছেন সেটা তো ঠিকই। যাঁরা হিসাব দেন তাঁরা অনুদান পাবেন। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে এই অনুদান চালুর পর থেকে পুজো কমিটিগুলিকে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। তাঁদের হিসাব দিতে হয়। যে পুজো কমিটি হিসাব দেবেন না পরের বার এমনিই পাবেন না।”
বিরোধীদের তুলোধনা কুণালের
এবার পুজোর অনুদান একধাক্কায় ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই তা নিয়ে তা নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। একসময় ১০ হাজার টাকা দিয়ে যে অনুদান পর্ব শুরু হয়েছিল, সেটাই এখন বাড়তে বাড়তে লাখ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। যদি এবার ক্লাবের সংখ্যা ৪৩ হাজার ধরে নেওয়া যায়, তাহলে এবার অনুদানে রাজ্যের খরচ হচ্ছে ৪৭৩ কোটি টাকা। আগের বার খরচের অঙ্কটা ছিল ৩৬৫ কোটি টাকার কাছাকাছি। অনুদান নিয়ে ইতিমধ্যে বাম থেকে বিজেপি, সকলেই সুর চড়িয়েছেন। কুণাল যদিও বলছেন, “সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেসের একাংশের আইনজীবীরা তাঁরা পুজো হলেই বাধা দিতে হবে। অনুদান পেলে বাধা দিতে হবে, এই যে শকুনের রাজনীতিটা করে এসেছেন তাতে আজকে পুরো জল ঢালা হয়ে গেল।”