Shatarup Ghosh: সিপিএম হোলটাইমারের ২২ লাখি গাড়ি! কুণালের প্রশ্নের জবাব দিলেন শতরূপ

Shatarup Ghosh: তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ একটি টুইটে লিখেছেন, ২০২১ সালের নির্বাচনী হলফনামায় শতরূপের সম্পত্তির হিসেব ২ লাখ টাকা। সেই শতরূপ কীভাবে ২২ লাখ টাকার গাড়ি কিনলেন? তা নিয়েই প্রশ্ন কুণালের।

Shatarup Ghosh: সিপিএম হোলটাইমারের ২২ লাখি গাড়ি! কুণালের প্রশ্নের জবাব দিলেন শতরূপ
শতরূপকে আক্রমণ কুণালের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 28, 2023 | 1:23 PM

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগে ক্রমেই বাড়ছে শাসকের অস্বস্তি। নাম জড়াচ্ছে ছোট-বড়-মাঝারি মাপের নেতাদের। কড়া পদক্ষেপও করছে তৃণমূলও (Trinamool Congress)। কিন্তু বিরোধীর খোঁচা থামছে না। এমন অবস্থায় এবার স্টান্স বদলাচ্ছে শাসক শিবির। শুরু হয়েছে প্রতি আক্রমণের পালা। প্রথমে সুজন চক্রবর্তীকে নিশানা চিরকুটে চাকরির তত্ত্বে। আর এবার শাসকের নিশানায় সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ (Shatarup Ghosh)। প্রশ্ন তোলা হচ্ছে বাম নেতার সম্পত্তি নিয়ে।

কী অভিযোগ তুলছে শাসক শিবির?

তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ একটি টুইটে লিখেছেন, ২০২১ সালের নির্বাচনী হলফনামায় শতরূপের সম্পত্তির হিসেব ২ লাখ টাকা। সেই শতরূপ কীভাবে ২২ লাখ টাকার গাড়ি কিনলেন? তা নিয়েই প্রশ্ন কুণালের। সিপিএম-এর একজন হোলটাইমার কীভাবে এত দামি একটি গাড়ি কিনলেন? প্রশ্ন উসকে দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে শতরূপের নির্বাচনী হলফনামার অংশ, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সহ নথির ছবিও তুলে ধরেছেন কুণাল ঘোষ।

পাল্টা যুক্তি রয়েছে শতরূপেরও

কুণাল ঘোষে যে খোঁচা দিয়েছেন, তার পাল্টা দিয়েছেন সিপিএম নেতাও। শতরূপের সাফ বক্তব্য, দুর্নীতির টাকায় সম্পত্তি করা হয়নি। গাড়ি কেনার টাকা বাবা দিয়েছেন এবং আইনত সব কাগজই রয়েছে বলে দাবি শতরূপ ঘোষের। অতীতে কুণাল ঘোষ যে এককালে তৃণমূলকে আক্রমণ করে খোঁচা দিতেন, সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন সিপিএম নেতা। গাড়ির প্রসঙ্গে শতরূপ বলেন, ‘যে গাড়িটির কথা বলা হচ্ছে, সেটি আমি জানুয়ারি মাসে কিনেছি। এই গাড়ির টাকা আমার বাবা নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের চেকে করেছেন। আমার বাবা-মা দুইজনেই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থার কাজ করেছেন। বাবা চেকে এই গাড়ির টাকা দিয়েছেন। তার সব নথি আমার কাছে রয়েছে।’

শতরূপ ঘোষ চ্যালেঞ্জের সুরে বলেন, ‘কেন্দ্রের যেমন আয়কর দফতর ও ইডি রয়েছে, তেমনই রাজ্যের হাতেও ইকোনমিক অফেন্স উইং বলে একটি সংস্থা রয়েছে। যদি কোথাও টাকা পয়সা নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকে তাদের, তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় না বলে সেই সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করাতে পারে।’