কলকাতা : বগটুইতে আগুনে মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গে সকালেই টুইট করে কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। টুইটে লিখেছিলেন, ‘রামপুরহাটের আগুনের ঘটনায় রাজনীতি নেই।’ পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেই কুণাল ঘোষই বললেন, এটা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। প্রথম টুইটের কয়েক ঘণ্টা পর সেই কুণাল ঘোষই আবার লিখেছেন, ‘বৃহত্তর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে তৃণমূল নেতাকে খুন করে তারপর এই আগুন লাগানো হয়েছে।’ তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক উল্লেখ করেছেন, বাংলা শান্তই ছিল। বাংলায় কোনও রাজনৈতিক অস্থিরতা নেই। কুণালের অভিযোগ, সেটা শান্তি অনেকেই সহ্য হচ্ছে না বলেই এই কাজ করা হচ্ছে। সকালে রাজনীতির কথা না বললেও কেন পরে সেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ব্যাখ্যাই সামনে আনছে ঘাসফুল শিবির, সেই প্রশ্নই সামনে আসছে।
মঙ্গলবার সকালে অনুব্রত-গড় তথা বীরভূমের রামপুরহাটে বগটুই গ্রামে একাধিক অগ্নিদদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। সাদা চোখে আগুন লেগে মৃত্যুর ঘটনা বলে মনে হলেও সোমবার উপপ্রধান খুনের সঙ্গে এই মৃত্যুর ঘটনার যোগ উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। উপপ্রধান খুনের বদলা নিতেই এতগুলো মানুষকে মেরে ফেলা হল কি না, তা তদন্ত করে দেখবে পুলিশ। কিন্তু ঘাসফুর শিবিরের দাবি, যারা উপপ্রধান ভাদু শেখকে খুন করেছে, তারাই এ ভাবে আগুন লাগিয়ে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে। খবর পেয়েই এ দিন বীরভূমে পৌঁছেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
কুণাল ঘোষ এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আসল ঘটনা পুলিশের তদন্তে যথাযথ ভাবে উঠে আসবে। তাঁর কথায়, বাংলা শান্ত। কোনও অস্থিরতা নেই। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত। এটা অনেকের সহ্য হচ্ছে না। শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা বলেই বর্ণনা করেছেন কুণাল ঘোষ। উপপ্রধানের খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভাদু শেখ অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে গ্রামে আগে থেকেই একটা ক্ষোভ ছিল। যত সময় যাচ্ছে, তথ্য আসছে, সন্দেহ বাড়ছে তৃণমূলকে টার্গেট করা হয়েছে।
3/3: রামপুরহাটের আগুনের ঘটনায় রাজনীতি নেই।
মৃত্যু দুঃখের। এইভাবে মৃত্যু আরও দুঃখের।
যাঁরা এ নিয়ে রাজনীতি করছেন, তাঁদের রাজ্য থেকেও আমাদের প্রায়শই মৃতদেহ বাংলায় ফিরিয়ে আনতে হয়। বিজেপি
ও এন ডি এ শাসিত রাজ্যে নিয়মিত অপমৃত্যু ও হত্যা চলছে।
বাংলার পরিস্থিতি ভালো।
তদন্ত চলছে।— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) March 22, 2022
3/3: বৃহত্তর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে তৃণমূল নেতাকে খুন করে তারপর এই আগুন লাগানো হয়েছে। শান্ত বাংলাতে ইস্যু তৈরি করতে কারা এই কাজ করেছে, তা সকলেই বুঝছে।
মাননীয়া CM-এর নির্দেশে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে।
OC ক্লোজড। SDPO অপসারিত।
SIT গঠিত।
এখনও পর্যন্ত 11 গ্রেপ্তার।
তদন্ত চলছে।— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) March 22, 2022
সরাসরি নাম না করলেও রাজ্যের বিরোধী শিবির তথা বিজেপির দিকেই আঙুল তুলেছেন কুণাল। তিনি বলেছেন, যারা প্রত্যাখাত, যারা পিছনের দরজা দিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করছে, তারাই এই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের পিছনে রয়েছে কিনা তা দেখা উচিত।
ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় টুইট করে এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি, রাজ্যের কাছে জবাব তলবও করেছেন তিনি। রাজ্যপালের টুইটকে অনভিপ্রেত বলে মন্তব্য করেছেন কুণাল ঘোষ।