Bagtui Massacre: ‘অসুবিধা আছে’, পাশের বাড়ির ৭ জনকে ঝলসে মরতে দেখেও কীসের ভয়ে সিঁটিয়ে বগটুইয়ের মানুষ? বিস্ফোরক তথ্য
Bagtui Massacre: এই সেই বাড়ি। দুফট দূরত্বেই প্রতিবেশীর বাড়ি। বাড়িটির ডান-বাঁ পাশ আর দক্ষিণ দিকেও রয়েছে বাড়ি। ঠিক এই বাড়িটাতেই ঝলসে মৃত্যু হল ৭ জনের।
বীরভূম: ২ দশকের ব্যবধান। এক ‘হত্যাকান্ডে’ শিরোনামে রামপুরহাটের অখ্যাত গ্রাম বগটুই। রাতারাতি বঙ্গ রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলেছে এই গ্রাম। বোমাবাজিতে গ্রামের উপপ্রধানের মৃত্যু আর তার এক ঘণ্টার ব্যবধানে ওই গ্রামেই পুড়ে খাক পরপর বেশ কয়েকটি বাড়ি। ভিতর থেকে বন্ধ এক বাড়ি ভিতর থেকে উদ্ধার ৭ জনের অগ্নিদগ্ধ দেহ। যাতে ২ শিশুর থাকারও সম্ভাবনা রয়েছে। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করছেন, পুড়়িয়ে খুন করা হয়েছে ওঁদেরকে। কিন্তু প্রশ্ন থাকছে, যখন সোমবার রাতভর চলল তাণ্ডব, যে বাড়িতে ঝলসে মৃত্যু হল ৭ জনের, তার আশেপাশের বাড়ির সদস্যরা তখন কী করছিলেন? বাড়ি থেকে বেরিয়ে কি বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন? এই ঘটনায় কী-ই বা বলছেন তাঁরা? উত্তরটা কোনওক্ষেত্রেই ইতিবাচক নয়। অর্থাৎ যখন ঘটনাটি ঘটেছে, আশেপাশের বাড়ির কাউকেই সেসময় দেখতে পাওয়া যায়নি। এমনকি মঙ্গলবার সকালে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, অকুস্থলের গা লাগোয়া প্রত্যেকটা বাড়ির দরজায় তালা। প্রতিবেশীদের কেউ কেউ বলছেন…
এই সেই বাড়ি। দুফট দূরত্বেই প্রতিবেশীর বাড়ি। বাড়িটির ডান-বাঁ পাশ আর দক্ষিণ দিকেও রয়েছে বাড়ি। ঠিক এই বাড়িটাতেই ঝলসে মৃত্যু হল ৭ জনের। কিন্তু এক বারের জন্যও দেখা মেলেনি প্রতিবেশীদের। তাঁরা কি জানতেই পারলেন না? আদৌ কি তা বাস্তব নাকি জানতে পারলেন কিন্তু সিঁটিয়ে রইলেন ভয়ে। প্রশ্ন উঠছে, কাদের ভয়ে সিঁটিয়ে রইলেন তাঁরা?
মঙ্গলবার সকালে বগটুই গ্রামের ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, বেশিরভাগ বাড়িই তালাবন্ধ। ভয়ে গ্রাম ছেড়েছেন অনেকেই। পুরুষশূন্য গ্রাম। যে এলাকা দিয়ে বগটুই গ্রামে ঢুকতে হয়, সেখানে পাড়ার মোড়ে কয়েকজন অত্যুৎসাহীকে দেখা গিয়েছে। তবে অচেনা মানুষ দেখলেই ছিল নিজেদের লুকিয়ে রাখার আপ্রাণ প্রয়াস।
বয়স্ক এক মহিলাকে প্রশ্ন করা হল শুধু একটাই। এই যে গ্রামে আগুন লাগল, পাশের বাড়িতে আগুন লাগল, আপনি জানতেন? প্রশ্ন শুনে প্রথমে মাথা নীচু করলেন। ফের বললেন, “না, আমরা ভিতরে ছিলাম। এরকম প্রশ্ন করবেন না, আমাদের অসুবিধা রয়েছে।” কীসের অসুবিধা? পাশ থেকেই আরেক মহিলা বলে উঠলেন, ‘না না আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। আমরা অন্য জায়গায় ছিল।’ বাড়ির মহিলাদের সামলাতে তখন সামনে চলে এসেছিলেন কর্তা। তিনি বললেন, “এখানে তো আরও অনেক বাড়ি রয়েছে, জিজ্ঞাসা করুন। আমরা বাড়ির ভিতরে ছিলাম। সব ভয়ে ঢুকে গিয়েছিলাম। আমরা বলতে পারব না। আমাদেরকে ছাড়েন। আমরা বলতে পারব না।” বাড়ির বউ তখন ফের ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন পরিস্থিতি। ‘আমরা তখন হাসপাতালেই ছিলাম।’
এই গোটা বক্তব্য পুড়ে যাওয়া বাড়ির কয়েক হাত দূরের একটা বাড়ির সদস্যদের। এখানেই স্পষ্ট, তাঁরা ভয় পাচ্ছেন। কিন্তু কাকে? সে প্রশ্নই উঠছে। রাজ্য পুলিশের ডিজি জানিয়েছেন, উপপ্রধান খুনের এক ঘণ্টার মধ্যেই তাণ্ডব চলেছে। নেপথ্যে কে? তদন্তে এখন সিট।