AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Digha: দিঘায় আমিষ বিতর্ক! পমফ্রেট মাছ দিয়ে লাঞ্চ সারলেন কুণাল ঘোষ

Digha: গণশক্তির এই প্রতিবেদনের শুরুতেই লেখা হচ্ছে, ‘অঘোষিত কার্ফু দিঘায়। হোটেলের বাইরে বের হতে পারবেন না কেউ। খাওয়া যাবে না মাছ-মাংস-ডিম।’ ওই প্রতিবেদনেই বলা হচ্ছে, স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মৎসমন্ত্রী ‘নিরামিষ’ খাওয়ার নির্দেশিকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।

Digha: দিঘায় আমিষ বিতর্ক! পমফ্রেট মাছ দিয়ে লাঞ্চ সারলেন কুণাল ঘোষ
ফেসবুকে পোস্ট কুণাল ঘোষের Image Credit: Facebook
| Updated on: Apr 30, 2025 | 5:46 PM
Share

কলকাতা: রূপ বদলাচ্ছে দিঘার। এবার শুধুই আর সমুদ্র স্নান নয়, হয়ে যাবে জগন্নাথ দর্শনও। মহাধুমধাম করে ইতিমধ্যেই দিঘায় জগন্নাথকে এনে ফেলেছে রাজ্য সরকার। দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে এদিনই হয়ে হয়েছে উদ্বোধন। তার আগে মঙ্গলবার হয়েছে মহাযজ্ঞ। কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা পড়েছে গোটা সৈকত নগরী। পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ চারদিক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে দিঘাতে বসেছে এক্কেবারে চাঁদের হাট। কিন্তু, এদিকে প্রশাসনের প্রস্তুতি থেকে নিরাপত্তা নিয়ে সিপিএমের মুখপত্র গণশক্তিতে ‘মন্দির উদ্বোধন, দু’দিন আমিষ বন্ধ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হতেই তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে জোরদার বিতর্ক। বিতর্কের মধ্যেই পাল্টা আক্রমণ শানালেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। 

গণশক্তির এই প্রতিবেদনের শুরুতেই লেখা হচ্ছে, ‘অঘোষিত কার্ফু দিঘায়। হোটেলের বাইরে বের হতে পারবেন না কেউ। খাওয়া যাবে না মাছ-মাংস-ডিম।’ ওই প্রতিবেদনেই বলা হচ্ছে, স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মৎসমন্ত্রী ‘নিরামিষ’ খাওয়ার নির্দেশিকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “দু’দিন গেলে আবার আমিষ খাওয়া যাবে।” প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, আরএসএস থেকে হিন্দু মহাসভার প্রসঙ্গ। মন্দির উদ্বোধনের এই বন্দোবস্তে আরএসএস খুশি বলেও দাবি করা হয়েছে। গণশক্তি লিখছে, ‘অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধনের চিত্রই ধরা পড়ল এখানে। মন্দিরের ১০০ মিটারের মধ্যেই আরএসএস ও তৃণমূলের পতাকার সহাবস্থান করে রয়েছে।’ এ প্রতিবেদন নিয়ে চর্চা-বিতর্ক শুরু হতেই এবার বামেদের একহাত নিল তৃণমূল। 

একেবারে মাছ খেয়ে সিপিআইএমকে জবাব দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, পুরোটাই সিপিএমের কুৎসা। ‘সিপিএম ও গণশক্তির জন্য’ ফেসবুকে মাছের থালা নিয়ে কুণাল লিখছেন, ‘দিঘাতে লাঞ্চ। পমফ্রেট মাছসহ। কোনও কোনও সমিতি ও সংস্থা আবেদন করেছেন জগন্নাথদেবের মন্দির উদ্বোধন বলে নিরামিষ খান। এটা স্বাভাবিক। অনেকেই নিরামিষ খাচ্ছেন। কিন্তু, যাঁরা আমিষ খেতে চাইছেন, তাঁদের জন্য কোনও বাধা নেই। কেউ কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে না।’ অন্যদিকে অন্যদিকে কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান সুপ্রকাশ গিরি বলছেন, “এরকম কোনও নির্দেশিকা কাউকে দেওয়া হয়নি। রাজ্য সরকার এরকম কোনও নির্দেশিকা দেয়নি।”