
কলকাতা: যেতে পারি, কিন্তু কেন যাব? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে স্কুলে গেলে পুলিশ যদি গ্রেফতার হন তাহলে তার দায় কে নেবেন? প্রশ্ন তুলছেন চাকরিহারাদের একাংশ। এদিনই এই প্রশ্ন তুলে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিআই অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন চাকরিহারারা। একদিন আগেই নেতাজি ইন্ডোরে চাকরিহারাদের বড় অংশের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশে থাকার বার্তাও দেন। কুণালের দাবি, তাতে কিছুটা চিঁড়ে ভিজেছে। কুণাল বলছেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজে সবিস্তার ব্যখ্যা দিয়েছেন। তাতে আশ্বাস্ত হয়ে বহু শিক্ষক শিক্ষিকা আজ স্কুলে গিয়েছেন। কাজ করেছেন। যদি কারও কোনও দ্বিধা থাকে আমার ধারণা সেগুলি কেটে যাবে।” তবে কুণালের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর বলা ‘ভলান্টিয়ারি সার্ভিসের’ ভুল ব্যখ্যা করা হচ্ছে। তুলোধনা করেন বিরোধীদের। মনে করার করোনাকালের কথা।
কুণালের নিশানায় বিরোধীরা
এদিন বিরোধীদের উদ্দেশ্যে সুর চড়িয়ে বলেন, “সিপিএম আর বিজেপি প্ররোচনা দিয়ে বলছে কেন ভলান্টিয়ারি সার্ভিস! ওদের সঙ্গে কংগ্রেসের একটা অংশ বলছে স্কুলে গিয়ে পড়ালে কেন বেতন পাবেন না?” কুণালের দাবি, এখানেই মুখ্যমন্ত্রীর কথা বিকৃতভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কুণাল বলছেন, “ভলান্টিয়ারি শব্দটার আগে পড়ে কিছু শব্দ ছিল। ওরা জেনেশুনে বিকৃতভাবে প্রয়োগ করছে।”
এরপরই করোনাকালের কথা মনে করিয়ে তিনি বলেন, “আমি বাম-রাম শিক্ষকদের জিজ্ঞাসা করছি যখন করোনার সময় দিনের পর দিন স্কুল, বন্ধ ছিল, ক্লাস নিতে হয়নি, অনেক রাজ্যে বেতন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নির্দিষ্ট তারিখে পুরো বেতন দিয়েছে। তখন স্কুল যেতে হয়নি, ক্লাস নিতে হয়নি!” কুণালের প্রশ্ন, “তখন মনে হয়নি স্কুল যাচ্ছি না বেতন নেব কেন? তখন বেতন নিলেন কেন, ফেরত দিলেন না কেন?”
‘রাজনৈতিক প্ররোচনায় পা না দেওয়াই ভাল’
প্রসঙ্গত, একদিন আগে চাকরিহারাদের আশ্বস্ত করে মমতা বলেছিলেন, “আমাদের প্ল্যান A রেডি, B রেডি, C রেডি। আপানাদের কাজ করুন না, কে বারণ করেছে! ভলেন্টিয়ারি সার্ভিস কিন্তু চলতেই পারে।” তার এ মন্তব্যেই নানা মহল থেকে উঠে এসেছে নানা মত। যদিও চাকরিহারা শিক্ষকদের একটা বড় অংশই কোনও ‘নোটিস’ ছাড়া স্কুলে যেতে নারাজ। কুণাল যদিও বলছেন, “সিপিএম বিজেপির প্ররোচনায় যাঁরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন তাঁরা বিপথে চালিত হচ্ছেন। তাঁরা একটা রাজনীতির ঘুঁটি হয়ে যাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে যখন জট খোলার চেষ্টা হচ্ছে তখন মনে হয় রাজনৈতিক প্ররোচনায় পা না দেওয়াই ভাল।”