নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রামের বিজয়া সম্মেলনে যোগ দিয়ে ফের চিকিৎসকদের একাংশকে নিশানা কুণাল ঘোষের। “দু নৌকায় পা দেওয়া মুখোশধারী ডাক্তারদের চিনে রাখুন। যাঁরা ২-৩ তিন ডিউটি করে জেলা থেকে পালিয়ে গিয়ে কলকাতায় প্রাকটিস করছেন তাঁদের নাম নোট করে রাখুন। তাঁদের তালিকা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হবে।” কুণাল ঘোষের এ মন্তব্যেই উঠেছে বিতর্কের ঝড়। প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। ১৬তম দিনের অনশন মঞ্চে চলছে চাপানউতোর।
এক প্রতিবাদী চিকিৎসক বললেন, “আমরা তো হাসপাতালে পরিকাঠামো বাড়ানোর কথা বলেছি। বায়োমেট্রিক চালু করুক। তাহলে দেখা যাবে কে থাকছে আর কে থাকছে না। যদি কেউ বেআইনি কাজ করে থাকে তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক সরকার। কিন্তু এই কথা বলে যদি আমাদের দশ দফা দাবি থেকে মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হলে আমরা তাঁর প্রতিবাদ জানাব। আগে আমাদের সমস্যার সমাধান হোক। আমরা সেটাই চাই।” যদিও নন্দীগ্রামের সভায় কার্যত রণংদেহি মেজাজে দেখা গিয়েছিল কুণালকে। ডাক্তাদের কাজ নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন।
চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে কুণাল বলেন, “রক্ত পরীক্ষা সহ নানা পরীক্ষা করতে দেন ডাক্তাররা। কিন্তু দেখে নেবেন যে ডাক্তার দিচ্ছেন তিনি যেন ল্যাব থেকে কমিশন খাওয়ার জন্য আপনার প্রেসক্রিপশনটাকে ব্যবহার না করে! যে ডাক্তাররা কমিশন খাবে তাঁদের নাম লিখে রাখুন।” কুণালের এ মন্তব্য নিয়েও উঠেছে বিতর্কের ঝড়। চিকিৎসক বীপ্রেস চক্রবর্তী বলছেন, “উনি তো ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই কিছু না কিছু বলতেই থাকেন। ওনার কথাকে আমরা সিরিয়াসলি নিই না। নেওয়ার মতো কথাও নয়।”