কলকাতা: গত কয়েকদিনে কলকাতা সহ রাজ্যের সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে পুজোর মরসুমে করোনা টেস্টের হার কম ছিল। কিন্তু নমুনা পরীক্ষা বাড়তেই ফের বাড়ছে পজিটিভিটির হার। কলকাতায় করোনা পজিটিভিটির হার ৩ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। যা রীতিমতো উদ্বেগের। এদিনই যখন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সংক্রমণ রোধে জেলাশাসকদের নির্দেশ দিচ্ছেন, তখন সন্তর্পণে আরও বাড়ল সংক্রমিতের সংখ্যা।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত মঙ্গলবারের বুলেটিন জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭২৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। সোমবার এই সংখ্যাটা কেমন ছিল? ২৪ ঘণ্টা আগে রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৯০ জন। আর পজিটিভিটি রেট ৩ শতাংশ। এদিন অবশ্য পজিটিভিটি রেট একটু কম, ২.১৯ শতাংশ। কিন্তু ভয় ধরাচ্ছে শহর কলকাতা।
স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের ১৮৩ জনই কলকাতার। দৈনিক সংক্রমণে এদিন শীর্ষে রাজ্য রাজধানী। সেদিক থেকে কিঞ্চিৎ স্বস্তির জায়গা উত্তর ২৪ পরগনা। কারণ বরাবরই সংক্রমণে উর্ধ্বে থাকা এই জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১০৬ জন। যা সোমবারের থেকে কিছুটা কম।
আবার করোনায় গত একদিনে মৃত্যুতেও শীর্ষে সেই কলকাতা। একদিনে করোনা প্রাণ কেড়েছে রাজ্যের ৯ জনের। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া ও হাওড়ায় ২ জন করে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন।
রাজ্য সরকারের বুলেটিন অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮ হাজার ৯৯৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭২৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ৭০৫ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৩৩ শতাংশ। রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হার ১.২০ শতাংশ।
তাছাড়া ১৯ অক্টোবর রাজ্যে মোট করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৩ হাজার ১১২টি। পজিটিভিটি রেট এখন ২.১৯ শতাংশ। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনার পর একদিনে সংক্রমণে যে জেলাগুলি এগিয়ে রয়েছে, তা হল হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হাওড়া। মোট আটটি জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় দুই অঙ্ক পার করেনি।
আরও পড়ুন:Harikrishna Dwivedi: এখনও হাতের বাইরে যায়নি পরিস্থিতি, করোনা নিয়ন্ত্রণে জরুরি নির্দেশ মুখ্যসচিবের
এদিকে
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নমুনা পরীক্ষা আরও বাড়লে সংক্রমণও আরও বাড়বে। উল্লেখ্য এদিনই রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জেলা শাসকদের নিয়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন। সেখানে তিনি করোনা পরীক্ষা ও টিকাকরণ, দুই-ই বাড়ানোর দিকে জোর দেন। আবার বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে রাতের বিধিনিষেধ।