Harikrishna Dwivedi: এখনও হাতের বাইরে যায়নি পরিস্থিতি, করোনা নিয়ন্ত্রণে জরুরি নির্দেশ মুখ্যসচিবের

Nabanna: রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে জেলাশাসকদের বেশ কিছু কড়া নির্দেশ দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। একই সঙ্গে ফের বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে রাতের গাড়ি চলাচলের বিধি-নিষেধ।

Harikrishna Dwivedi: এখনও হাতের বাইরে যায়নি পরিস্থিতি, করোনা নিয়ন্ত্রণে জরুরি নির্দেশ মুখ্যসচিবের
২০২২ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করল নবান্ন। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 19, 2021 | 8:45 PM

কলকাতা: দুর্গাপুজোয় (Durga Puja) কলকাতা তথা রাজ্যজুড়ে মণ্ডপে মণ্ডপে উপচে পড়া ভিড়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। ফের করোনা (Corona) গ্রাফ উর্ধমুখী হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো জেলাগুলিতে সংক্রমণ বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে রাজ্যের সমস্ত জেলা শাসকদের নিয়ে বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Harikrishna Dwivedi)। এদিন সন্ধে ৬ টার বৈঠকে জেলাশাসকদের বেশ কিছু কড়া নির্দেশ দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। একই সঙ্গে ফের বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে রাতের গাড়ি চলাচলের বিধি-নিষেধ।

এদিন বৈঠকে মুখ্যসচিব জানিয়ে দেন, আগামী কালের পরের থেকে আবার রাতের বিধি-নিষেধ কার্যকরী করতে হবে। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কড়াকড়িভাবে রাতের বিধি-নিষেধ কার্যকরী করতে হবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে। এছাড়া ভ্যাকসিনেশন বাড়ানোর জন্য জেলাশাসকদের বিশেষ উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব।

সূত্রের খবর, বৈঠকে মুখ্যসচিব জানান, এখনও করোনা আক্রান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। কলকাতায় আক্রান্ত সংখ্যা বাড়ছে বটে। তবে সেদিকে কড়া নজর দিতে হবে। পাশাপাশি প্রত্যেকটি জেলায় টিকাকরণ বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে জেলা শাসকদের। একই সঙ্গে করোনা নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধির দিকেও জোর দিতে বলেন দ্বিবেদী।

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে ফের কলকাতা সহ রাজ্যের সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে পুজোর মরসুমে করোনা টেস্টের হার কম ছিল। কিন্তু নমুনা পরীক্ষা বাড়তেই ফের বাড়ছে পজিটিভিটির হার। কলকাতায় করোনা পজিটিভিটির হার ৩ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। প্রায় ৩.৬৫ শতাংশ। যা রীতিমতো উদ্বেগের বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই প্রেক্ষিতে এদিনের বৈঠকে মুখ্যসচিব টেস্টের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে বলে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি যে অঞ্চলগুলিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, সেই অঞ্চলগুলি চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানিয়েছেনছ। যাতে পুনরায় সংক্রমণ না বাড়ে তাই এই নির্দেশ। জেলা শাসক ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে এদিনের বৈঠকে মুখ্যসচিব এও বলেন, তৃতীয় ঢেউ (Third Wave) এর ইঙ্গিতে রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যে পরিকাঠামো গড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তার কাজ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করতে হবে। ভেন্টিলেশন বাড়ানো, বেড বাড়ানো, আক্রান্ত শিশুদের জন্য হাসপাতালে পরিকাঠামো তৈরির কাজ দ্রুততার সঙ্গে শেষ করতে বলেন মুখ্য়সচিব।

তাছাড়া করোনা রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধপত্র মজুত আছে এবং কোন কোন ওষুধপত্রের প্রয়োজন রয়েছে তার তালিকা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে বলে জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য় আধিকারিকদের বলা হয়েছে। এছাড়া এদিনের বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব এও জানান, নোডাল অফিসার দিয়ে এলাকাভিত্তিক করোনা পরিস্থিতির দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এমনই একগুচ্ছ নির্দেশিকা এদিন জেলাশাসক ও আধিকারিকদের জানিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। উল্লেখ্য, সোমবার রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯০ জন। পজিটিভিটি রেট ৩ শতাংশ।

আরও পড়ুন: Covid19: কম নমুনা পরীক্ষা, তবু উৎসবের মরসুমে চড়চড়িয়ে বাড়ছে করোনা! পরীক্ষা বাড়লে?