Covid19: কম নমুনা পরীক্ষা, তবু উৎসবের মরসুমে চড়চড়িয়ে বাড়ছে করোনা! পরীক্ষা বাড়লে?

Corona: ১৭ অক্টোবর ২৭ হাজার ১৪৮টি। ১৮ অক্টোবর ২৩ হাজার ১৯টি। শেষ দু'দিনের নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা এবং সংক্রমণের তুল্যমূল্য বিচার করলেই পরিস্থিতিটা স্পষ্ট হয়ে যাবে।

Covid19: কম নমুনা পরীক্ষা, তবু উৎসবের মরসুমে চড়চড়িয়ে বাড়ছে করোনা! পরীক্ষা বাড়লে?
গত বছর এই রঙিন হওয়ার মরসুমের পরই কিন্তু চারপাশ ভয়ঙ্কর ভাবে বর্ণহীন হয়ে গিয়েছিল। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 18, 2021 | 10:41 PM

কলকাতা: উৎসবের মরসুম। সবে তো শারোদৎসব (Durga Puja) মিটল। এর পর লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো, ভাইফোঁটা, ছটপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো, ক্রিসমাস, ইংরাজি নতুন বছর —লম্বা তালিকা। আলো ঝলমলে চারপাশ, কত মানুষের ভিড়, খাওয়াদাওয়া, হইহুল্লোড়। সবই বড় রঙিন। তবে গত বছর এই রঙিন হওয়ার মরসুমের পরই কিন্তু চারপাশ ভয়ঙ্কর ভাবে বর্ণহীন হয়ে গিয়েছিল। সংক্রমণের (Covid19) করাল গ্রাস মাফ করেনি কাউকে। এবারও দুর্গাপুজো মিটটেই পজিটিভিটি রেট হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে।

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রত্যেকদিনই একটি বুলেটিন প্রকাশ করে। সেখানে বলা থাকে রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের পরিসংখ্যান। দ্বাদশী এবং ত্রয়োদশীর বুলেটিনের চিত্রটা কিন্তু বেশ উদ্বেগের। রবিবারের বুলেটিনে একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৬২৪ জন। পজিটিভিটি রেট ছিল ২.৩০ শতাংশ। সোমবার রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯০ জন। পজিটিভিটি রেট ৩ শতাংশ।

পুজোর বাজার থেকে মণ্ডপ দর্শন, করোনা বিধি উড়িয়ে রাস্তায় ঢল নেমেছিল জনতার। কলকাতা তো বটেই, জেলাতেও বাঁধ ভাঙা ভিড়। স্টাফ স্পেশাল ট্রেনেও পা ফেলার জায়গা পাওয়া যায়নি। ব্যারাকপুর, বসিরহাট কিংবা বারাসত থেকে বাসগুলিতে ওঠা যাচ্ছিল না। সকলেই তিলোত্তমামুখী, ঠাকুর দেখবেন। করোনার মধ্যে এমন বিধি ভেঙে মেলামেশায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চিকিৎসকরা। উদ্বেগ বাড়িয়েছে পজিটিভিটি রেটও।

অনেকের মনে হতে পারে আক্রান্তের সংখ্যা ততটাও বেশি নয়। তাদের ভুললে চলবে না, পুজোর মরসুমে নমুনা পরীক্ষাও কিন্তু কম হচ্ছে। ফলে পরীক্ষা বাড়লে এই সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে হয়তো ঠাহরই করা যাচ্ছে না। তবে পজিটিভিটি রেট দেখে এখনও সাবধান হওয়া দরকার। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্যই বলছে, গত ১ অক্টোবর এ রাজ্যে পজিটিভিটি রেট ছিল ১.৭৯ শতাংশ। ১৪ অক্টোবর যা বেড়ে দাঁড়ায় ২.৯৩ শতাংশে। ১৮ অক্টোবরে যা হল ৩ শতাংশ।

পুজোর আগে অর্থাৎ ১ অক্টোবর এ রাজ্যে করোনা পরীক্ষা হয়েছিল ৩৯ হাজার ৬৬১। ২ অক্টোবর যা ছিল ৪২ হাজার ২৭। ১৬ অক্টোবর নমুনা পরীক্ষা হয় ১৯ হাজার ১৮টি। ১৭ অক্টোবর ২৭ হাজার ১৪৮টি। ১৮ অক্টোবর ২৩ হাজার ১৯টি। শেষ দু’দিনের নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা এবং সংক্রমণের তুল্যমূল্য বিচার করলেই পরিস্থিতিটা স্পষ্ট হয়ে যাবে।

এপিডেমিওলজিস্টরা কেরলের কথা মনে করাচ্ছেন। ওনামের পর কেরলে সংক্রমণ ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছয়। পরীক্ষা হতো বাংলার কয়েক গুণ বেশি। নিয়মিত ভাবে দৈনিক দেড় লক্ষের বেশি পরীক্ষা হতো সে রাজ্যে। এ রাজ্যে যদিও সত্যিই পরীক্ষা বাড়ে তা হলে সংক্রমণের চেহারাটা আরও মারাত্মক হবে না তো? প্রশ্ন কিন্তু জিইয়েই রইল।

আরও পড়ুন: Corona Update: ফের বাড়ছে সংক্রমণ, এবার এক লাফে অনেকটা বাড়ল পজিটিভিটি রেট

আরও পড়ুন: Gariahat Double Murder: খড়গপুর আইআইটির প্রাক্তনীর বিপুল সম্পত্তিই কি চূড়ান্ত পরিণতির কারণ হল?