
কলকাতা: লোকসভা ভোট শেষ। গণনা পর্ব প্রায় শেষের দিকে। এবারের লোকসভা ভোটের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যে বাড়ল উপনির্বাচনের সংখ্যাও। শাসক-বিরোধী দুই শিবির থেকেই একাধিক বিধায়ককে প্রার্থী করা হয়েছিল লোকসভা নির্বাচনে। তালিকায় বিজেপির মনোজ টিগ্গা, হিরণ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের পার্থ ভৌমিক, জুন মালিয়া-সহ দুই দলেরই একাধিক বিধায়ক টিকিট পেয়েছিলেন লোকসভা ভোটে। তাঁদের কেউ জিতেছেন, কেউ পরাজিত হয়েছেন। আর এসবের মধ্যেই বেড়েছে রাজ্যে উপনির্বাচনের খাতায় নাম তোলা বিধানসভা কেন্দ্রের সংখ্যাও।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক যে বিধানসভা কেন্দ্রগুলি বিধায়ক-শূন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। রায়গঞ্জের বিধায়ক পদে ছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। তৃণমূলের টিকিটে লোকসভা ভোটে প্রার্থী হওয়ার পর তিনি বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন। একইরকমভাবে রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন মুকুটমণি অধিকারী। বিশ্বজিৎ দাসও বিধায়ক পদ ছেড়েছেন লোকসভায় প্রার্থী হওয়ার জন্য, ফলে বাগদা বিধানসভা আসনটিও বর্তমানে বিধায়ক শূন্য। এছাড়া মানিকতলার বিধায়ক সাধন পাণ্ডের মৃত্যু হওয়ায়, সেটিও বিধায়কশূন্য হয়ে পড়ে রয়েছে।
এর পাশাপাশি একাধিক লোকসভা আসনে সেই বিধায়কদের কেউ জিতে গিয়েছেন, কেউ আবার জয়ের পথে। যেমন কমিশনের ওয়েবসাইটে সন্ধে সাড়ে সাতটার হিসেব অনুযায়ী, হাড়োয়ার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলামকে বসিরহাট থেকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। তিনি এখন জয়ের পথে। মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গাও আলিপুরদুয়ার থেকে জয়ের পথে। সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বসুনিয়াও বর্তমানে কোচবিহারের সাংসদ হওয়ার পথে। মেদিনীপুর লোকসভা থেকে ইতিমধ্যেই জয়ী হয়েছেন ঘাসফুলের বিধায়ক জুন মালিয়া। ব্যারাকপুর থেকে আবার জয়ের পথে পার্থ ভৌমিক। সেই প্রেক্ষিতে এবার এই বিধানসভা আসনগুলিও এবার বিধায়কশূন্য হতে চলেছে এবং ফলে এগুলিতে আবার উপনির্বাচন হবে।