Madan Mitra on Anubrata Mondal: উডবার্নকে হাতের তালুর মতো চেনেন, কেষ্টর নাটকীয় ভর্তি দেখে মদন মিত্র বললেন…
Madan Mitra on Anubrata Mondal: সিবিআই গ্রেফতার করার পর এসএসকেএমে ভর্তি হওয়ার নজির রয়েছে অনেক নেতারই। মদন মিত্র তাঁদের মধ্যে অন্যতম।
কলকাতা : বাংলার রাজনীতিতে যে সব চরিত্র বারবার চর্চা বা বিতর্কের শীর্ষে উঠে আসে তাঁদের মধ্যে অন্যতম অনুব্রত মণ্ডল। আবার সেই তালিকায় নাম রাখতেই হয় মদন মিত্রের। বুধবার যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে শাসক দলের এই দুই নেতার মিল খুঁজে পাচ্ছেন অনেকেই। গ্রেফতার হওয়ার অভিজ্ঞতা অনুব্রত-র না থাকলেও মদনের রয়েছে। একবার নয়, একাধিকবার। প্রথমে সারদা-কাণ্ডে গ্রেফতারি, পরে নারদ। দুবারই দেখা গিয়েছে, জেলের বদলে হাসপাতালের বেডেই বেশি সময় কাটিয়েছেন কামারহাটির বর্তমান বিধায়ক। আর আজ এসএসকেএমে গেলে অনুব্রত। ফারাক একটাই, শুধু জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করার পরই হাসপাতালে পৌঁছেছেন তিনি। রাজনৈতিক মহলে যখন অনুব্রত-র অসুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তখন এই বিষয়টাকে সমর্থন করলেন মদন মিত্র।
TV9 বাংলার তরফে মদন মিত্রকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি সাফ জানিয়ে দেন, তাঁরা এসব বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেন না। উই ডোন্ট কেয়ার, এই শব্দগুচ্ছ বারবার শোনা যায় তাঁর মুখে।
এসএসকেএম ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। এ কথা স্বীকার করে নিয়ে মদন মিত্র সাংবাদিককে বলেন, ‘আমার যা যা হয়েছিল, তা যদি আপনার বা আপনার পরিবারের কারও হত, তাহলে নন্দলাল হয়ে বাড়িতে বসে থাকতেন। মদন মিত্র বলে বাজারে আছি।’ আর কেষ্ট মণ্ডের অসুস্থতা প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, অনুব্রত তো ভীষণভাবে অসুস্থ। তবে সিবিআই দফতরে হাজিরা এড়ানোর তত্ত্ব মানতে নারাজ মদন। তাঁর বক্তব্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তিনি নিজে, প্রত্যেকেই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তে সহযোগিতা করেছেন। তাঁর কথায়, ‘কেউ যদি অসুস্থ হয় তাহলে কিছু করার নেই। সংবাদমাধ্যমকে খুশি করার জন্য বলতে হবে, হাজিরা এড়ানোর জন্য অসুস্থ হয়েছেন! এত কাপুরুষ আমরা নই। উই ডোন্ট কেয়ার।’ কথাটা আবারও বলেন তিনি। বলেন, ‘অন এয়ার বলছি, উই ডোন্ট কেয়ার।’
এসএসকেএমে ভর্তি থাকার জন্য মদনকে প্রভাবশালী তকমা হয়ে থাকে। আর সেই তকমা নিয়ে কোনও দ্বিধা নেই বিধায়কের। তিনি জোর গলায় বলেন, ‘আমি এখনও প্রভাবশালী আছি। সারা রাজ্যে আমার যা প্রভাব, তা অনেক বড় বড় নেতার নেই।’
উল্লেখ্য, বুধবার নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রত-র। চিনার পার্কের একটি বহুতল আবাসন থেকে গাড়িতে বেরিয়ে যান তিনি। সবাই যখন ধরে নিয়েছিলেন, এবার হাজিরা দিচ্ছেন বীরভূমের জেলা সভাপতি, তখন আচমকাই গাড়ি পৌঁছে যায় এসএসকেএমে। উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছে তাঁর।