Madhyamik 2023: ‘প্রশ্নফাঁস নয়, অন্তর্ঘাত’, বলল পর্ষদ; সুকান্তকে নিশানা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যর
পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর কেউ ছবি তুলে প্রশ্নপত্রটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পাঠিয়েছে। ফলে পরীক্ষায় এর কোনও প্রভাব পড়েনি।
কলকাতা: পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনই বিতর্কের কেন্দ্রে মাধ্যমিক। এবার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়েও শুরু হল রাজনৈতিক চাপানউতোর। মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্নপত্রের তিনটি পাতা সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হওয়ার ঘটনার পিছনে ‘অন্তর্ঘাত’ রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার আরও একধাপ এগিয়ে এই অন্তর্ঘাতের ঘটনায় রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের দিকে আঙুল তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এদিন ইংরেজি প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “পর্ষদ সভাপতি বলছেন, এটা (প্রশ্নপত্র ফাঁস) অন্তর্ঘাত। আর এটা ঘটেছে মালদায়। যে জেলার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সুকান্ত মজুমদার পড়ান এবং মালদার সংলগ্ন জেলা হল বালুরঘাট। এপ্রসঙ্গেই শিক্ষামন্ত্রীর প্রশ্ন, এগুলোর মধ্যে কোনও অন্তঃ যোগ নেই তো?”
তবে যে-ই ঘটনাটি ঘটেছে তা আগামী কালের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে আশাবাদী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, “কে পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে পাঠিয়েছে, সে ব্যাপারে জেলাশাসকের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। পর্ষদ সভাপতিও কথা বলেছেন। আশা করি, আগামী কালই বিষয়টি সামনে চলে আসবে।” তবে এই ঘটনায় পরীক্ষায় কোনও প্রভাব পড়েনি বলে দাবি শিক্ষামন্ত্রীর। তিনি বলেন, “১২টায় পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আর পৌনে ২টোর সময় প্রশ্নপত্রের কয়েকটি পাতা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায়। অর্থাৎ পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর কেউ ছবি তুলে প্রশ্নপত্রটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পাঠিয়েছে। ফলে পরীক্ষায় এর কোনও প্রভাব পড়েনি।”
প্রসঙ্গত, এদিন মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিন, দ্বিতীয় ভাষা পরীক্ষা ছিল। হঠাৎ করেই একটি ইংরেজি প্রশ্নপত্রের তিনটি পাতা নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন বিজেপি নেতা। লিখেছেন, “সকাল থেকেই মাধ্যমিক পরীক্ষার ইংরেজি প্রশ্নপত্র বলে সেগুলি ঘুরে বেড়াচ্ছে।” যদিও সেগুলি প্রকৃতপক্ষেই মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র কি না, সেই বিষয়টি স্পষ্ট করেননি বঙ্গ বিজেপির সভাপতি। লিখেছেন, “কিছু সময়ের মধ্যেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।” পরে পর্ষদের বিবৃতিতে অবশ্য স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্রটি মাধ্যমিকেরই ইংরেজি প্রশ্নপত্র। তবে প্রশ্নপত্রটি ফাঁস হওয়ার ঘটনা অস্বীকার করে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, যদি প্রশ্নপত্র ফাঁস হত, তাহলে প্রশ্নপত্রের ১৬টি পাতাই ফাঁস হত। কিন্তু, সেটা হয়নি। ৩টি পাতা সামনে এসেছে। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্রের ৩টি পাতা প্রকাশিত হওয়ার ঘটনাটি সম্পূর্ণ ‘পরিকল্পিত’ এবং ‘অন্তর্ঘাত’ বলে দাবি পর্ষদ সভাপতির।