
কলকাতা: ১০ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। একথা বলেই কমিশনকে কার্যত কড়া বার্তা দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর শুরু হওয়ার পর থেকেই শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। একাধিক স্কুলে দেখা যায়, পড়াশোনা প্রায় বন্ধ হওয়ার জোগাড়। বেশিরভাগ শিক্ষকই বিএলও-র দায়িত্ব পেয়েছেন। তবে এবার প্রথম মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে এভাবে বার্তা দেওয়া হল নির্বাচন কমিশনকে।
আজ, বুধবার পর্ষদের তরফে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে কমিশনকে। আসন্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় যাতে কোনও বিঘ্ন না ঘটে, সেই বার্তাই দেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে রাজ্যে মোট ২৬৮২টি পরীক্ষা কেন্দ্র থাকছে, তার জন্য এক লক্ষ পরিদর্শক লাগে। তাই সেই শিক্ষক সংখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে SIR প্রক্রিয়া চালানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে কমিশনকে। পরিদর্শক, ভেন্যু সুপারভাইজার ও ইনচার্জদের ভোটের কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
আগামী বছরের ২ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি চলবে মাধ্যমিক পরীক্ষা। ওই সময় হিয়ারিং ও ভেরিফিকেশনের কাজ চলতে পারে। তাই মাধ্যমিক পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যেন কোনও কাজ না দেওয়া হয়, সেই অনুরোধ জানানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কমিশনের তরফে ওই চিঠির কোনও জবাব দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, এতদিন ধরে এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়া ও সংগ্রহ করার কাজ করেছে বিএলও-রা। তারপর ভুল শোধরানোর সুযোগ দেওয়া হয় তাঁদের। প্রথম খসড়া তালিকা বেরিয়ে যাওয়ার পর এবার সাধারণ মানুষকে বলা হয়েছে, বিএলও-দের কাছ থেকে জানা যাবে যে তাঁদের নাম তালিকায় আছে কি না।