Madhyamik 2024: সবে মাধ্যমিকের ‘দ্বিতীয়া’, মৃত্যু ২, ১৩ জনের পরীক্ষা বাতিল, হাসপাতালে…
Madhyamik: ব্যারাকপুরের একটি স্কুলে এক দাদা, যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, সে নিজের অ্যাডমিট কার্ড দিয়ে ভাইকে পাঠিয়েছিল পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। বিষয়টি ধরা পড়তেই ওই পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড বাজেয়াপ্ত করে জেনারেল ডায়েরি করা হয়েছে বলে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে। প্রথম দিনই পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও মালদহের তিন পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মোবাইল ফোন।
কলকাতা: শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। আজ শনিবার নিয়ে সবেমাত্র পরীক্ষার ‘দ্বিতীয়া’। তাতেই ঘটনার ঘনঘটা! গতকাল এবং আজ দু’দিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বেরিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রথমদিন প্রশ্নপত্র বেরিয়ে যাওয়ার অভিযোগে দুই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে সেই সংখ্যা এক লাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১। দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষার দিন ১১ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। এ তো সবে শুরু। আছে আরও…
শুক্রবার পরীক্ষার শুরুর দিনই ব্যারাকপুরে অ্যাডমিট কার্ড জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। দাদা ছিল পরীক্ষার্থী। এদিকে সে নিজে না এসে অ্যাডমিট কার্ড দিয়ে ভাইকে পাঠায় পরীক্ষা দিতে। সেই কার্ড বাজেয়াপ্তর পাশাপাশি অভিযোগও দায়ের হয়েছে থানায়।
ব্যারাকপুরের একটি স্কুলে এক দাদা, যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, সে নিজের অ্যাডমিট কার্ড দিয়ে ভাইকে পাঠিয়েছিল পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। বিষয়টি ধরা পড়তেই ওই পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড বাজেয়াপ্ত করে জেনারেল ডায়েরি করা হয়েছে বলে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে। প্রথম দিনই পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও মালদহের তিন পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মোবাইল ফোন।
এদিকে শুক্রবার পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই উল্টোডাঙায় এক ছাত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। ধরবাগান সারদা প্রসাদ ইনস্টিটিউট অব গার্লস স্কুলের ওই পরীক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহে এক ছাত্রী পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় টোটো থেকে পড়ে যায়। হাতে স্যালাইনের চ্যানেল লাগিয়েই জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিয়েছে সে। জেলার নিউ ব্যারাকপুরের এক পরীক্ষার্থী তো অক্সিজেন নিয়ে পরীক্ষা দিতে বসে।
পরীক্ষা শুরুর আগের দিন বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কোভিড পজিটিভ হয়। ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও প্রশাসনের কাছে পরিবার তা জানালে হাসপাতালে তার জন্য আলাদাভাবে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।
বীরভূমের নলহাটির এক পরীক্ষার্থী শুক্রবার পরীক্ষা দিয়ে বাইকে বাড়ি ফিরছিল। জাতীয় সড়ক ধরে ফেরার পথে রাস্তায় পড়ে যান। রামপুরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ট্রেন থেকে পড়ে এক পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয় উত্তর ২৪ পরগনার কাকিনাড়ার স্টেশনের কাছে। শুক্রবার পরীক্ষা দিয়ে ট্রেনে বাড়ি ফেরার সময় কাকিনাড়া স্টেশনের ঢোকার আগেই ট্রেন থেকে পড়ে যায় সে। কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত্যু হয় তার।
মুর্শিদাবাদে এক বাবা তাঁর মেয়েকে পরীক্ষায় বসতে দেবেন না বলে কয়েকদিন ধরে খুব অশান্তি করছিলেন। আজ শনিবার আর কিছুতেই পরীক্ষা দিতে দেবেন না বাবা। সাত সকাল মাকে নিয়ে সোজা ফরাক্কা থানায় হাজির হয় ওই ছাত্রী। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরীক্ষা দেয় সে।
উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে আবার এক পরীক্ষার্থীর ফোন নম্বর চেয়ে বিরক্ত করছিল তিন যুবক। নম্বর না দেওয়ায় পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনেই ওই পরীক্ষার্থীর দিকে পিস্তল তাক করে বলে অভিযোগ। তিনজনকে আটকও করা হয়।
এ তো গেল পরীক্ষার্থীদের কথা। হুগলির চুঁচুড়ায় গার্ড দেওয়ার সময় এক শিক্ষিকাও ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়েন। তিনি সন্তানসম্ভবা। শুক্রবার গার্ড দিচ্ছিলেন। হঠাৎই পেটে অসম্ভব যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর। রক্তক্ষরণও হয়। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ইমামবাড়া হাসপাতালে।