Mahalaya: মহালয়ার ভোরে চেনা চিত্র, বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ঘাটে ঘাটে চলছে পিতৃতর্পণ, জারি নজরদারিও

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Oct 02, 2024 | 7:41 AM

Durga Puja 2024: মহালয়ার ভোরে প্রতি বছরের মতোই চেনা চিত্র দেখা গেল শহর কলকাতা ও জেলার বিভিন্ন ঘাটে। পিতৃপুরুষকে জলদান করতে ভোর থেকেই ভিড় বাবুঘাট, বাগবাজার, নিমতলা ঘাটে। তুমুল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই চলছে তর্পণ। 

Mahalaya: মহালয়ার ভোরে চেনা চিত্র, বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ঘাটে ঘাটে চলছে পিতৃতর্পণ, জারি নজরদারিও
মহালয়ায় ঘাটে ঘটে চলছে তর্পণ।
Image Credit source: TV9 বাংলা

Follow Us

কলকাতা: পিতৃপক্ষের অবসান, সূচনা হল দেবীপক্ষের। আজ মহালয়া। ভোর থেকেই তুমুল বৃষ্টি। তবে পিতৃপুরুষকে জলদান করতে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ভিড় ঘাটে। বাবুঘাট থেকে বাগবাজার, নিমতলা-ঘাটে ঘাটে ভিড়। চলছে তর্পণ। জেলাতেও একই চিত্র। পুণ্যার্থীদের সুরক্ষার জন্য যাবতীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

আরজি করের ঘটনায় মন বিষণ্ণ হলেও, মহালয়ার ভোরে প্রতি বছরের মতোই চেনা চিত্র দেখা গেল শহর কলকাতা ও জেলার বিভিন্ন ঘাটে। পিতৃপুরুষকে জলদান করতে ভোর থেকেই ভিড় বাবুঘাট, বাগবাজার, নিমতলা ঘাটে। তুমুল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই চলছে তর্পণ।

বাবুঘাট সহ গঙ্গার অন্যান্য ঘাটগুলিতে যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। গঙ্গায় চলছে টহল। প্রস্তুত রাখা হয়েছে লাইফ জ্যাকেট, বোট। ক্রমাগত মাইকিংও করা হচ্ছে।

শহর কলকাতার মতোই চিত্র জেলাতেও। তবে বাঁকুড়ায় তর্পণের মাঝেও উঠল প্রতিবাদের সুর। আরজি করের নির্যাতিতার জন্য গণতর্পণের আয়োজন করা হয় গন্ধেশ্বরী নদীতে।

নদীয়া জেলার একটি প্রান্ত ভাগীরথী নদী। এই নদীর পলাশী থেকে কল্যাণী পর্যন্ত প্রায় ১১৭ কিলোমিটার পথে একাধিক স্থানে স্নানের ঘাট। তার মধ্যে অন্যতম নবদ্বীপ বড়াল ঘাট গুপ্তিপাড়া ও শান্তিপুর রবীন্দ্রনাথ ঘাট সহ একাধিক।ভোর থেকে মানুষ পিতৃকুলকে তর্পণ করতে ঘাট গুলিতে ভিড়। গঙ্গা স্নানের পর পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করেন মানুষ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশি ব্যবস্থা।

মহালয়ার পূর্ণ তিথিতে বালুরঘাট শহরের কল্যাণীঘাট বা সদরঘাটে শুরু হল তর্পণ। পিতৃ পুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করতে ভোর থেকে ভিড় পড়ে বালুরঘাট আত্রেয়ী নদীতে। এদিকে তর্পণকে ঘিরে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য আত্রেয়ী নদীতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্ধারকারী দলকে নামানো হয়। পাশাপাশি আত্রেয়ী নদীর জল অনেক বেশি থাকায় তর্পণ করতে সমস্যার সম্মুখীন হয়।

শুধুমাত্র বালুরঘাট, কল্যাণীঘাট নয়, চকভৃগু, পরানপুর, কুমারগঞ্জ ও গঙ্গারামপুর, বংশীহারীতে তর্পণ অনুষ্ঠিত হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া হলেও অন্যান্য বারের তুলনায় অনেক বেশি এবার বালুরঘাট আত্রেয়ী নদীর সদরঘাটে ভিড় বেশি। এদিকে এদিন ভোর থেকেই নদীঘাট পরিদর্শন করেন ডিএসপি হেড কোয়ার্টার বিক্রম প্রসাদ।

ভোর থেকে গঙ্গাসাগরের সমুদ্রতটেও উপচে পড়ছে পুণ্যার্থীদের ভিড়। শহর কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলো থেকে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমিয়েছেন গঙ্গাসাগরে। এদিন ভোরের আলো ফোটার আগে থেকেই হাজার হাজার পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানের পাশাপাশি সারলেন তর্পণ। স্নান সেরে কপিলমুনি মন্দিরে লাইন দিয়ে পুজো দিতে দেখা গেল পুণ্যার্থীর দলকে।

প্রবল ঝড় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত উপেক্ষা করে ডায়মন্ড হারবারের হুগলি নদীতেও ভোর থেকে শুরু হয়েছে মহালয়ার তর্পণ।

Next Article