Maheshtala: বিভিন্ন রুটের অটো জালিয়াতি শিকার সাধারণ মানুষ! কীভাবে হচ্ছে জালিয়াতি?
Maheshtala: প্রতারিতদের থেকে জানা যাচ্ছে, এলাকার বিভিন্ন অটো মালিকদের 'ডকুমেন্টস' জালিয়াতি করে লক্ষাধিক টাকার লোনের অভিযোগ ওঠে। অটোর মালিক প্রথমে এক ব্যক্তির কাছে তাঁর অটোটি বিক্রি করে এবং তারপর দ্বিতীয় যে মালিক, তিনি আবার তৃতীয় এক ব্যক্তিকে সেই অটোটি বিক্রি করেন।

কলকাতা: এবার অটো নিয়েও জালিয়াতি! শুনে অবাক হচ্ছেন? এমনই ঘটছে মহেশতলা থানা এলাকায়।
বিষয়টি ঠিক কী?
প্রতারিতদের থেকে জানা যাচ্ছে, এলাকার বিভিন্ন অটো মালিকদের ‘ডকুমেন্টস’ জালিয়াতি করে লক্ষাধিক টাকার লোনের অভিযোগ ওঠে। অটোর মালিক প্রথমে এক ব্যক্তির কাছে তাঁর অটোটি বিক্রি করে এবং তারপর দ্বিতীয় যে মালিক, তিনি আবার তৃতীয় এক ব্যক্তিকে সেই অটোটি বিক্রি করেন। অটো তৃতীয় মালিক যখন নিজের নামে অটোর কাগজপত্র করতে চান, তখন মালিকের সমস্ত ‘ডকুমেন্টস’ ব্রোকারের হাতে দিলে দেখা যায় অজান্তেই তাঁর নামে লক্ষ লক্ষ টাকা লোন হয়ে গিয়েছে।
আসলে প্রথম ব্যক্তির নামে এর আগে লক্ষাধিক টাকা লোন হয়ে রয়েছে। ফাইন্যান্স কোম্পানি বেশ কিছু অটো বাজেয়াপ্ত করেছে। এরপরেই বেশ কিছু অটোর মালিকরা ঘটনাটি জানতে পেরে মহেশতলা থানায় অভিযোগ জানান। মহেশতলা থানার ভারপ্রাপ্ত আইসি তাপস সিংহ এবং এসআই অনীক মজুমদার তদন্তে নেমে তিনটি অটো বাজোয়াপ্ত করে এবং চারজন প্রতারককে গ্রেফতার করে মহেশতলা থানার পুলিশ।
কীভাবে প্রতারণা?
জানা গিয়েছে, ওই চার জন দালালের কাজ করেন। প্রথমে অটোওয়ালা ও দ্বিতীয় জনের মধ্যে সংযোগের কাজ করেন। এবার প্রথম ব্যক্তির থেকে তিনি অটো কিনিয়ে দ্বিতীয় ব্যক্তির হাতে যখন হ্যান্ড ওভার করাচ্ছেন তখন কাগজপত্র নিয়েও নাম ট্রান্সফার করাচ্ছেন না। আর ওই নথি দেখিয়েই তাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ।
ওই চারজন অভিযুক্তর নামে মামলা রজু করে আজ আলিপুর আদালতে তাদেরকে পাঠানো হয়।





