TMC Maidul Islam: ‘সরকার-বিরোধী’ মইদুলের নতুন করে ‘কামব্যাক’! ফিরে পেলেন ‘হারানো’ পদ
TMC News: কয়েক মাস আগেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপার সভাপতি ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। তারপরই পদ যায় মইদুলের। এই একই সময়কালে পদ গিয়েছিল আরও এক 'অভিষেক-পন্থী' শিক্ষক নেতা প্রীতম হালদারের। এবার মাধ্য়মিক সংগঠনে সভাপতি হয়ে ফিরলেন তিনি।

কলকাতা: দলের সঙ্গে কখনও তৈরি হয়েছে দূরত্ব, কখনও বা মিলেছেন আগের মতো। কিন্তু বরাবর থেকেছেন ‘অভিষেক-ঘনিষ্ট’। তৃণমূলে এটাই পরিচয় শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলামের। বেশিদিন নয়, এই জানুয়ারি মাসের কথা। শিক্ষক সংগঠনে পদ হারিয়েছিলেন মইদুল ইসলাম। তবে ‘কামব্যাক’টাও কয়েক মাসের মধ্য়েই। জানুয়ারিতে গেল পদ, এল নভেম্বরে। শনিবার তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষা সংগঠনের সভাপতি পদে বসলেন মইদুল ইসলাম।
কী কারণে পদ হারিয়ে ছিলেন তিনি?
বরাবরই অভিষেক-পন্থী নেতা বলে পরিচিত মইদুল ইসলামের। কয়েক মাস আগেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপার সভাপতি ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। তারপরই পদ যায় মইদুলের। এই একই সময়কালে পদ গিয়েছিল আরও এক ‘অভিষেক-পন্থী’ শিক্ষক নেতা প্রীতম হালদারের। এবার মাধ্য়মিক সংগঠনে সভাপতি হয়ে ফিরলেন তিনি।
আন্দোলনেই পরিচয়
শহরের শিক্ষক আন্দোলনের নজির কম নেই। প্রতিবাদী শিক্ষকেরও অভাব নেই। কিন্তু তাঁদের মধ্যে থেকেই নিজেকে অন্য় মাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলাম। অমিত শাহকে কালো পতাকা দেখানো হোক বা বিকাশ ভবনের সামনে শিক্ষিকাদের বিষপান। একাংশের কাছে মইদুলই ছিলেন ‘মাস্টারমাইন্ড’।
একুশ সালের কথা। বেতন বৃদ্ধির আন্দোলনের মাধ্যমে শুরু হওয়া শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ নেমে পড়েছে বদলির প্রতিবাদে। মইদুল ছিলেন এই সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক। লাগাতর আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানোয় তাঁকে ও আরও ৫ চুক্তিভিত্তিক শিক্ষিকাকে বাড়ি থেকে ক্রোশ দূরে বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে শুরু হয় বিক্ষোভ। বিকাশ ভবনের সামনে সেই ৫ শিক্ষিকাকে নিয়ে পৌঁছে যান মইদুল। বদলির প্রতিবাদে সেখানেই বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ৫ শিক্ষিকা। এরপরই রাতের অন্ধকারে ‘প্ররোচনা’ দেওয়ার অভিযোগে মইদুলকে পাকড়াও করতে যায় পুলিশ। কিন্তু ততক্ষণে হাওয়া। এই ‘সরকার-বিরোধী’ মইদুলই পড়ে হাতে তুলে নেন তৃণমূলের পতাকা। অবশ্য, সংগ্রাম জারি থাকবে বলেই দাবি করেন তিনি।
