
কলকাতা: অক্টোবরেও তুমুল বৃষ্টির পূর্বাভাস। বর্ষা এখন লম্বা ইনিংস খেলবে, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস সেরকমই। একের পর এক নিম্নচাপ, সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা। মৌসুমী বায়ু যখন ফিরে যাওয়ার কথা, তখন ফিরছে না। নতুন করে তৈরি হয়েছে গভীর নিম্নচাপ। ফলে বাংলার একটা অংশ নিয়ে বেড়েছে উৎকন্ঠা। আর তার সঙ্গেই সক্রিয় DVC কেন্দ্রীয় রাজনীতি। ম্যান মেড বন্যা বিতর্ক!
ঝাড়খণ্ডে তুমুল বৃষ্টি। আর তাতে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে DVC। জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়াল দক্ষিণবঙ্গে প্লাবনের আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে DVC-র জল ছাড়া নিয়ে খড়্গহস্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, কোনও আগাম নোটিস না দিয়েই জল ছাড়ছে ডিভিসি। এই নিয়ে নিজের সামাজিক মাধ্যমে পোস্টও করেছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “ডিভিসি-র একতরফা ও ইচ্ছাকৃত জল ছাড়ছে। লেটেস্ট আপডেট অনুযায়ী, আজ সন্ধ্যার মধ্যে তারা মাইথন ও পাঞ্চেত বাঁধ ইত্যাদি থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার কিউসেকেরও বেশি জল ছেড়েছে, যার ফলে উৎসবের সময় আমাদের পশ্চিমবঙ্গকে প্লাবিত করা হচ্ছে।” তিনি লিখেছেন, “এটি একেবারে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, যাতে লক্ষ লক্ষ মানুষের উপর দুর্যোগ নেমে আসে, যখন তারা এখনও পুজোর আনন্দে ব্যস্ত। লজ্জাজনক, অসহনীয়, অগ্রহণযোগ্য! আমরা প্রতিবাদ জানাই!” উল্লেখ্য, প্রথম পোস্টে ৬৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার কথা উল্লেখ করেছিলেন।
The latest update on the unilateral and wilful release of water by DVC is that they have by the evening today released more than 150,000 cusecs of water from Maithon and Panchet dams etc to flood our West Bengal during festival times. This is a deliberate ploy to unleash disaster…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) October 3, 2025
এর আগেও বাংলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে DVC-র জল ছাড়া নিয়ে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব খাঁড়া করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও DVC-র তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, দেড় লক্ষ কিউসেক জল মোটেও ছাড়া হয়নি। এখনও পর্যন্ত জল ছাড়ার হার ৭০ হাজার কিউসেক। রাজ্যকে জানিয়েই সবসময় জল ছাড়া হয়েছে বলে দাবি করেছে। বোর্ডই সিদ্ধান্ত নেয়। বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এটা নতুন কিছু নয়। মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবারই এই ধরনের অভিযোগ করেন। হয় বামফ্রন্টকে দেখান, যে বামেরা করেনি, তাই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, নয়তো কেন্দ্রকে দোষ দেন।”
DVC-র জল ছাড়া নিয়ে তোপ দেগেছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ” প্রত্যেক বছর এরা জল ছেড়ে দিয়ে বাংলাকে বিপদে খেলার চেষ্টা করে বানভাসি করার চেষ্টা করে। কিন্তু বাংলার মানুষ বা বাংলাকে বানভাসী করা যাবে না। চব্বিশের নির্বাচনে এদের বানভাসি হয়েছে। যা কিছু অবশিষ্ট জমিদাররা এখানে রয়েছে সেইসব আবর্জনা ও ২৬ নির্বাচনে বানভাসি হবে। বিসর্জন হবেই বিসর্জন আটকানো যাবে না কিন্তু সেই বিসর্জন হবে বাংলা বিরোধীদের। ”