
কলকাতা: কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়ায় দেরি, জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার চার মাস পর রেজাল্ট! উদ্বেগ বাড়িয়েছিল ছাত্র সমাজ-অভিভাবকদের। হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বারবার এই দেরি হওয়া নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে এবার তা নিয়েই মুখ খোলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের সভায় বিষয়টা নিয়ে প্রথমে সুর চড়িয়েছিলেন অভিষেক। যদিও তিনি হাল্কা করে বিষয়টা ছুঁয়ে যান, সঙ্গে এও জানান নেত্রীই এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বলবেন। অভিষেক বলেন, “রেজাল্ট বেরনোর পরও ভর্তি প্রক্রিয়া দেরি হওয়ার জন্য কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন।” এক্ষেত্রে বিচারব্যবস্থার একাংশকে দায়ী করে অভিষেক বলেন, “তৃণমূল সরকারকে বিঁধতে গিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারব্যবস্থার একাংশ বাংলার ছাত্র যুব সমাজের জীবনে অন্ধকার নামাতে চেয়েছিল। আমরা সুপ্রিম কোর্টে দিয়ে সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসি। যেদিন নির্দেশ পেয়েছি, ১ ঘণ্টার মধ্যে সরকার প্রক্রিয়া শুরু করে।”
অভিষেকের কথার রেশ ধরেই মমতা শুরু করেন। তিনি বলেন, “যারা বড় বড় ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে কথা বলেন, আর রোজ আদালতে গিয়ে নিয়োগে বাধা দেয়, ভর্তিতে বাধা দেয়, আমি দুঃখিত জয়েন্টের রেজাল্ট বেরোতে দেরি হয়েছে।” বিরোধীদের তোপ দেগে তিনি বলেন, “যারা কোর্টে কেস করে, তারা একসঙ্গে কেস করে, আবার আমাদের দোষ দেয়। ওরা ২ নম্বরী। রাজনীতিতে লড়াই করো, সেখান না পেয়ে ব্যাক ডোরের লড়াই করো, নিয়োগ আটকাও, ভর্তি আটকাও, আর বড় বড় কথা বলো।”