AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TMCP 28 August: ‘আমরা মিষ্টিমি করি, দুষ্টুমি করি না’, TMCP-র মঞ্চ থেকে খোঁচা মমতার

TMCP 28 August: ১ বছর হয়ে গেল অপরাজিতা বিল পাশ হয়নি। রাজ্যপাল অপরাজিতা বিল আটকে রেখেছেন। এক বছর পেরিয়ে আরজি কর কাণ্ড প্রসঙ্গে ফের সিবিআই-কে তোপ অভিষেকের।

TMCP 28 August: 'আমরা মিষ্টিমি করি, দুষ্টুমি করি না', TMCP-র মঞ্চ থেকে খোঁচা মমতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 28, 2025 | 3:08 PM
Share

কলকাতা:   আজকের ছাত্র সমাবেশের ভিড় সর্বকালীন রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে, বললেন অভিষেক। মেয়ো রোডের সমাবেশে থিক থিকে ভিড়। এদিনের মঞ্চ থেকে আরও একবার আরজি কাণ্ডের প্রসঙ্গ অভিষেকের মুখে। অপরাজিতা বিল কেন এখনও পাশ হল না, সুর চড়ালেন তিনি। SIR, নির্বাচন কমিশনকে এদিনও তোপ দাগেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক নজরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের  বক্তব্য…

KEY HIGHLIGHTS

  1. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (বিজেপি হাইভোল্টেজ ভাইরাস):  হাইভোল্টেজ ভাইরাসরা হিংসা করে টাকা আটকে রেখেছে। SIR করে ভোটাধিকার কাড়ার চেষ্টা করছে। নির্বাচন কমিশন কারোর ললিপপ খেলে, সেটা দুর্ভাগ্যের।
  2. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (পরিযায়ী শ্রমিক): ২২ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক, যাদের কাজ ভাল, তাদের ডেকে নিয়ে যায়, এখন অত্যাচার করছে।আমাদের এখানেও দেড় কোটি পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছে, আমরা তো অত্যাচার করি না। নির্বাচন এলেই এজেন্সির দাপাদাপি বাড়ে। আমি অনেক প্রধানমন্ত্রী দেখেছি, আমি বইও লিখব, কে কেমন ছিল, বইমেলায় বেরোবে। বিজেপি বলেছিল, প্রতি বছরে ২ কোটি লোকের চাকরি দেবে, তারা এই ১৪ বছরে কত কোটি লোকের কাজ খেয়েছ। আমরা কিন্তু ২ কোটি লোকের চাকরি দিয়েছি। নীতি আয়োগ বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বার্ষিক বেকারত্বের হার ছিল মাত্র ২২ শতাংশ, জাতীয় লেভেল ছিল, ৩.২ শতাংশ। হাইভোল্টেজ ভাইরাসরা হিংসা করে টাকা আটকে রেখেছে। SIR করে ভোটাধিকার কাড়ার চেষ্টা করছে।
  3. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (কলেজ নির্বাচন): বক্সী দা আমাদের সিনিয়র। আমি তখন কলেজে। আশুতোষ কলেজে ইলেকশন হচ্ছে। আমি বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলাম। ২ ছেলেকে গাড়িতে এসে সিপিএমের গুন্ডারা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আমি তখন বক্তৃতা দেওয়ার ফাঁকে জল খেতে গিয়েছিলাম, তখন দেখি এই কাণ্ড। আমি গিয়ে কলার চেপে ধরি। ওরা আমাকে পাইপগান নিয়ে তাড়া করল। বক্সীদের পাড়ায় শ্রীহরি মিষ্টান্ন ভান্ডার বলে একটা দোকান রয়েছে। এখনও রয়েছে। তার পাশে রেস্টুরেন্টে ছিল। সেখানে বসে থাকা কয়েকজন দেখতে পেয়ে আমাকে রেস্টুরেন্টে ঢুকিয়ে দিল, ওরা আর খুঁজে পায়নি। নাহলে সেদিনই আমাকে মেরে দিত। হাজরার মোড়ে ডান্ডা মারে। নাম না করে বামেদের আক্রমণ।
  4. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দেরি): যারা বড় বড় ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে কথা বলেন, আর রোজ আদালতে গিয়ে নিয়োগে বাধা দেয়, ভর্তিতে বাধা দেয়, আমি দুঃখিত জয়েন্টের রেজাল্ট বেরোতে দেরি হয়েছে। যারা কোর্টে কেস করে, তারা একসঙ্গে কেস করে, আবার আমাদের দোষ দেয়। ওরা ২ নম্বরী। রাজনীতিতে লড়াই করো, সেখান না পেয়ে ব্যাক ডোরের লড়াই করো, নিয়োগ আটকাও, ভর্তি আটকাও, আর বড় বড় কথা বলো।
  5. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (মিষ্টিমি করি): ৪ কোটি ৫৬ লক্ষ স্কলারশিপ। UGC অনুদান বন্ধ করে দিয়েছে, কিন্তু আমরা দিই। গবেষকদের টাকা দিই। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাজ্যপাল নিয়োগ করেছিলেন। তিনি হঠাৎ করেই গবেষকদের টাকা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু যখনই আমরা শুনতে পাই, সঙ্গে সঙ্গে চালু করে দিই। সব জায়গায় তো আমাদের লোক থাকে, এক এক জায়গায় অন্যদের লোকও থাকে। তারা তাদের মতো, কেউ কেউ দুষ্টুমি করে, কেউ কেউ মিষ্টিমি করে। আমরা মিষ্টিমি করি, দুষ্টুমি করি না।
  6. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (সেরা আমার বাংলা ভূমি): মেধা তো অনেক রকম। যে পড়াশোনায় ভাল, সেটা তো মেধাই। যারা গান গায়, যারা চলচ্চিত্রে কাজ করেন, তাঁরাও সব মেধার অধিকারী। যে গ্রামে ধান ফলায়, যে মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেয়, যে তাঁত বোনে, তাঁরাও মেধার অধিকারী। আমরা ৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ৫৩ লক্ষ পড়ুয়াকে স্মার্ট কার্ড দিচ্ছি। শিক্ষার পরিকাঠামো উন্নত করতে ৬৯ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছি। সকল রাজ্যের সেরা আমার বাংলা ভূমি। আমার কন্যাশ্রী পৃথিবীর সেরা পুরস্কার পেয়েছে।
  7. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(দারিদ্র দূরীকরণ): আমাদের ২০১১ সালের পর থেকে রাজ্যের আয় বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৫ গুণ। আমাদের সরকার দারিদ্র দূরীকরণ, সামাজিক সংস্কারের মাপকাঠি, সেখানে ২০১৩-২৩ সালের মধ্যে ১ কোটি ৭২ লক্ষ মানুষকে দারিদ্রসীমার ওপরে নিয়ে এসেছি। এখন এই সংখ্যা ২ কোটির ওপরে উঠে গিয়েছে। এটা ভারতের সর্বোচ্চ।
  8. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (আমার মতো দেশকে ভাল কেউ চেনে না): তখন আমাদের কলেজে DFO ছিল। আমি কিন্তু লড়াই করে করে DFO-কে ভেঙে দিয়েছিলাম। আমাদের থেকে সিনিয়র তখন পার্থ দা, অশোক দা ছিলেন…আমার মনে আছে ওদের কথা। কারণ সুব্রত দার নেতৃত্বে আমরা কাজ করতাম। মেয়েদের মধ্যে বক্তৃতা দেওয়ার কেউ ছিল না, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ তো তখন ছিল না, তখন আমাকে সব প্রোগ্রামে বক্তৃতা দিতে নিয়ে যেত। বাইরেও গিয়েছি। আমার মতো দেশটাকে ভাল কেউ চেনে না।
  9. অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (অপরাজিতা বিল) :  ১ বছর হয়ে গেল অপরাজিতা বিল পাশ হয়নি। রাজ্যপাল অপরাজিতা বিল আটকে রেখেছেন। এক বছর পেরিয়ে আরজি কর কাণ্ড প্রসঙ্গে ফের সিবিআই-কে তোপ অভিষেকের। গত বছর ছাত্র সমাবেশে আরজি কর ঘটনাকে নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়েছিল। আজ এক বছর পেরল। যারা দোষীর শাস্তিতে রাত দখলের ডাক দিয়েছিলেন, তাঁদের সম্মান জানাই। কিন্তু যেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন কলকাতা পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করেছিল, সেটা মোদীর সিবিআই এক বছরেও করতে পারেনি। আমাদের সরকার, মন্ত্রিসভা, বিধানসভায় পাশ করিয়ে অপরাজিতা বিল সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়েছিল। এতদিন হয়ে গিয়েছে, সেই বিল বিজেপি, রাজ্যপাল, রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর পরই অনুমোদন পাওয়া যায়নি। এখন কেন কংগ্রেস, সিপিএম এই নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলছে না? কেন রাস্তায় নামছে না?
  10. অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (SIR):  যারা SIR করে আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে, তাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামবেন না? বাংলায় ছাব্বিশ সালে যোগ্য জবাব দেবে। সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে মৌলিক অধিকার দিয়েছে। সেই অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। আগে মানুষ সরকার বেছে নিত, এখন সরকার ভোটার বেছে নিচ্ছে। দিল্লিতে দিয়ে লড়াই করেছি, দিল্লির কৃষি ভবন থেকে আমাদের মহিলা সাংসদ, এসসি, এসটি জনজাতি উপজাতির প্রতিনিধিদের টেনে হিঁচড়ে দিল্লি পুলিশ বার করেছিল
  11. অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (বাংলা ও বাংলাভাষী):  আমরা হয়তো দিল্লি থেকে টাকা আনতে পারিনি। কিন্তু আমাদের নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৬৯ লক্ষ জব কার্ড হোল্ডারের বকেয়া পাওনা টাকা মিটিয়েছেন। আমরা যদি এই লড়াই করতে পারি, তাহলে ১০ কোটি বঙ্গবাসী, যাদের বাংলাদেশি বলেছে ওরা, তাদের হয়েও লড়াইয়ে নামব। যারা বাংলাকে অপমানিত করে, বলে বাংলা বলে ভাষা নেই, তাদের জবাব দেব!
  12. অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (১০-০ গোল): তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে পরে লড়বে, যুবদের সঙ্গে লড়াই করো আগে, ১০-০ গোলে হারবে। বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ অভিষেকের। ক্ষমতা থাকলে বিজেপি ছাব্বিশের নির্বাচনে ৫০ পার করে দেখাও।
  13. অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (ভর্তি প্রক্রিয়ায় দেরি): রেজাল্ট বেরনোর পরও ভর্তি প্রক্রিয়া দেরি হওয়ার জন্য কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূল সরকারকে বিঁধতে গিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারব্যবস্থার একাংশ বাংলার ছাত্র যুব সমাজের জীবনে অন্ধকার নামাতে চেয়েছিল। আমরা সুপ্রিম কোর্টে দিয়ে সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসি। যেদিন নির্দেশ পেয়েছি, ১ ঘণ্টার মধ্যে সরকার প্রক্রিয়া শুরু করে।
  14. অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিল): তৃণমূলের ২৮ জন সাংসদ ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ করেছিলেন, অমিত শাহকে সামনে সারিতে দাঁড়িয়ে বিল ইন্ট্রোডিউস পর্যন্ত করাতে দেয়নি। অমিত শাহ পিছনের সারিতে গিয়ে বিল সম্পর্কে বলেছিলেন। এটাই তৃণমূলের ক্ষমতা। এই বিল তারা পাশ করতে পারবে না। ধন্যবাদ আপনাদের, আপনারা ২৯টা আসন দিয়েছেন। যদি ৪০ টা আসন দিতেন, তাহলে অমিত শাহ শেষ আসনে মুখ লুকিয়ে থাকতেন। যে কোন বিল আনলে, সরকারের জবাবদিহিতা থাকা উচিত। নোটবন্দির সময়ে কোনও জবাব দিয়েছে? কাল টাকা ধ্বংস করেছে? এত লোক লাইনে দাঁড়িয়ে মেরেছে, জবাব কে দেবে? কৃষি বিল এনে, ৭১৬ জন কৃষক আত্মহত্যা করেন। জবাব কে দেবেন? NRC-র ভয় দেখিয়ে সম্প্রীতি নষ্ট করতে চেয়েছিল…
  15. অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: সরকারের তরফ থেকে আমাদের পাড়া আমাদের সমাধানে প্রত্যেক বুথে ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। স্বনির্ভর বাংলা কী, বাস্তবায়িত করেছি।