
কলকাতা: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব রয়েছে পুলিশের হাতে। তাই মঞ্চ নিয়ে সমস্যা থাকলে পুলিশকে জানাতে হত। মেয়ো রোডে গিয়ে একথাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করেছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। অভিযোগ, সোমবার দুপুরে, কাউকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ সেনা আধিকারিকরা তৃণমূলের ভাষা আন্দোলনের মঞ্চ ভেঙে দেন। এরপরই সরব হয় তৃণমূল, মেয়ো রোডে ছুটে যান মমতা।
‘আমাকে জানালেন না কেন?’
দেশ জুড়ে ভাষা সন্ত্রাস চলছে, এমন অভিযোগ তুলে ভাষা আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার ও রবিবার করে চলছিল সেই প্রতিবাদ কর্মসূচি। সেই মঞ্চই সেনা ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ। সেনাবাহিনীর দাবি, তৃণমূল যে সময়ের জন্য এই মঞ্চের অনুমতি নিয়েছিল, তা উত্তীর্ণ হয়েছে। এছাড়া সপ্তাহের বাকি দিনগুলিতে এই প্যান্ডেল রাখা নিয়েও আপত্তি রয়েছে সেনার। সেনার উদ্দেশে মমতা বলেন, “আমাকে জানালেন না কেন? আমাকে একটা ফোন করলেই তো বলে দিতাম।”
‘সেনাকে দিয়ে মঞ্চ খুলিয়েছে বিজেপি’
সেনাবাহিনীকে বিজেপি ব্যবহার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আর্মিই শুধু বাকি ছিল। আর্মিকেও যদি মিস ইউজ করে, তাহলে সিকিউরিটি কোথায় থাকবে? একটা এজেন্সির নাম বলুন যারা নিরপেক্ষ? এরা সবাই বিজেপি পক্ষ।’ মমতা আরও বলেন, ‘আমি সেনাকে সম্মান করি, কিন্তু এই কাজ সেনাকে দিয়ে বিজেপি করেছে।’
ঘটনার পরই মঞ্চে ছুটে যান মমতা। ক্ষোভ প্রকাশ করলেও সেনাবাহিনীর দিকে কোনও ভাবে দায় চাপাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
‘সেনাবাহিনীর নিরপেক্ষ থাকা উচিত’
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই প্রোগ্রামের জন্য ২০ হাজার টাকা জমাও করেছে তৃণমূল। কোনও প্রোগ্রামও ছিল না অন্যদের। তাই মঞ্চ করা হয়েছে। মমতা বলেন, “অনুমতি ছাড়া ২১ জুলাইও করিনা। গান্ধীমূর্তির পাদদেশেও করতে দেবে না? রেড রোডেও অনুমতি দেবে না নাকি?” মমতার বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিবাদের মঞ্চ সরিয়ে দিতে চাইছে। এটা বিজেপি পার্টি করেছে। সেনাবাহিনীর নিরপেক্ষ থাকা উচিত।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, মেয়ো রোড থেকে সরিয়ে মঞ্চ তৈরি করা হবে রানি রাসমণি রোডে। সে ব্যাপারে অনুমতিও নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “বিজেপির অনুমতি নিয়ে আমি কোনও কর্মসূচি করব না। আমার অনেক জায়গা আছে।”