Mamata Banerjee on DA Protest: DA ভালবেসে পুরস্কার! মমতার পরামর্শ, ‘দরকার হলে কেন্দ্রের চাকরি খুঁজে নিন’
Mamata Banerjee: সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, 'কোনটা ম্যান্ডেটরি, কোনটা নয়, সেটা তো কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলে দিয়েছে।
কলকাতা: মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্ট বলেছিল, ডিএ সরকারি কর্মীদের অধিকার। তবে রাজ্য সরকার তথা শাসক দলের নেতারা বারবার ব্যাখ্যা করেছেন, আদতে ডিএ কোনও অধিকার নয়, অনুদান। মহার্ঘ ভাতা দেওয়া যে বাধ্যতামূূলক নয়, সোমবারই সেটা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় মমতা উল্লেখ করেছেন, সরকারের কাছে টাকা থাকলে তবেই ডিএ দেওয়া যায়, নাহলে নয়।
ডিএ নিয়ে লাগাতার আন্দোলন চলছে গত তিন মাস ধরে। কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার দাবিতে রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মী সংগঠনের সদস্যরা। তাঁদের উদ্দেশে এদিন মমতা বলেন, ‘ডিএ অধিকার নয়, অপশন। তাও তিন শতাংশ আমরা দিয়েছি। কেন্দ্র থেকে বকেয়া টাকা আর তিন শতাংশ দিয়ে দেব। তবে ডিএ ম্যান্ডেটরি নয়, এটা অপশন। টাকা থাকলে কাউকে ভালবেসে পুরস্কার দিতে পারি। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের বেতন কাঠামো আলাদা। দরকার হলে কেন্দ্রের চাকরি খুঁজে নিন, বেশি বেতন পাবেন, বেশি ডিএ পাবেন।’
কেন সরকারি পরিষেবা বাদ দিয়ে সরকারি কর্মীরা দিনের পর দিন রাস্তায় বসে আছেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনারা সরকারি চাকরি করেন। সব সুবিধা পান। অফিসের সময়ে আপনারা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ করছেন? মানুষ তো পরিষেবা পাচ্ছে না? বিক্ষোভ করতে নিষেধ করছি না, অফিসের সময় বাদ দিয়ে করুন।’
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, ‘কোনটা ম্যান্ডেটরি, কোনটা নয়, সেটা তো কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলে দিয়েছে। কোর্ট বলেছে এটা লিগালি এনফোর্সেবল রাইট (legally enforceable right)। এর অর্থ যদি উনি বুঝে না থাকেন, তাহলে চাইব কেউ ওঁকে বুঝিয়ে দিক। সরকারি কর্মীরা কোনও ভিক্ষা বা দয়ার দান চাইছে না, অধিকারটুকু চাইছে।’
পাশাপাশি, মমতা যেভাবে কেন্দ্রের চাকরি খুঁজে নেওয়ার কথা বলছেন, তা ‘অসাংবিধানিক’ বলে উল্লেখ করেছেন ভাস্কর ঘোষ। তিনি বলেন, ‘আমরা রাজ্যের জন্য কাজ করেছি। তাই কেন্দ্রের কাছে যেতে বলাটা অসাংবিধানিক। আমরা বরং মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ দিচ্ছি, আপনি অন্য রাজ্যে চলে গিয়ে দেখুন, মুখ্যমন্ত্রীর জায়গা পাওয়া যায় কি না।’