AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mamata Banerjee: ‘আপনারা আমাকে ভোট না দিলে, না দেবেন, আগুন নিয়ে খেলবেন না’, মেছুয়া বাজারে অভিশপ্ত হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে বললেন মমতা

Mamata Banerjee: বড়বাজার-জোড়াসাঁকোর একাধিক বিপজ্জনক বাড়ি প্রসঙ্গে মুখ খোলেন তিনি। অভিশপ্ত হোটেলের একাধিক বেনিয়ম নিয়েও  বলেন। সঙ্গে এটাও বললেন, "আপনারা আমাকে ভোট না দিলে, না দেবেন। শুধু এটা মনে রাখবেন, আমি আপনাদের ভালর জন্যই বলছি।"

Mamata Banerjee: 'আপনারা আমাকে ভোট না দিলে, না দেবেন, আগুন নিয়ে খেলবেন না', মেছুয়া বাজারে অভিশপ্ত হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে বললেন মমতা
মেছুয়া বাজারে ঘটনাস্থলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 16, 2025 | 4:46 PM

কলকাতা: বড়বাজারের মেছুয়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন-পর্বে সেখান থেকেই রাতভর গোটা বিষয়টির ওপর নজর রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিঘা থেকে ফিরেই সরাসরি মেছুয়া বাজারে ঘটনাস্থলে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। বড়বাজার-জোড়াসাঁকোর একাধিক বিপজ্জনক বাড়ি প্রসঙ্গে মুখ খোলেন তিনি। অভিশপ্ত হোটেলের একাধিক বেনিয়ম নিয়েও  বলেন। সঙ্গে এটাও বললেন, “আপনারা আমাকে ভোট না দিলে, না দেবেন। শুধু এটা মনে রাখবেন, আমি আপনাদের ভালর জন্যই বলছি।”

উল্লেখ্য, একাধিক বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে কলকাতা, যেগুলো অত্য়ন্ত পুরনো, যে কোনও সময়ে ভেঙে পড়তে পারে। তাতে ইতিমধ্যেই নোটিস দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু সেই বাড়ি এখনও ছাড়েননি বাসিন্দারা। সঙ্গে বড়বাজারের একাধিক বড় অগ্নিকাণ্ডের পরও এখনও মার্কেট দাহ্য পদার্থ মজুত রয়েছে, যা আগুন লাগলে বড় বিপদের কারণ হতে পারে বলে স্মরণ করালেন মুখ্যমন্ত্রী।

বড়বাজারের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মমতা বলেন, “ঘরের মধ্যে প্লাস্টিক ঢুকিয়ে রাখেন, কেমিক্যাল ঢুকিয়ে রাখেন, লোক যাওয়ার জায়গা নেই, যখন আগুন লাগছে, তখন নিজেরা পালাচ্ছেন, মারা যাচ্ছেন অন্য লোক। নন্দমার্কেটে এত কিছু হয়ে যাওয়ার পর এখনও এসব শুনতে পাই, সেখানে এখনও প্লাস্টিক মজুত করে রাখা হচ্ছে। এটা মনে রাখবেন, আমি আপনাদের ভালই চাই। এটা বলার জন্য যদি আপনি আমাকে ভোট না দেন, না দেবেন। কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু প্লিজ সেভ লাইফ। ”

সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই নন্দমার্কেটে আগুন প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি যখন বিরোধী ছিলাম, নন্দমার্কেটে আগুন লেগেছিল, আমি তিন দিন রাস্তায় বসে ছিলাম। সরকারের কেউ ছিল না। আমি ক্ষমতায় এসে দমকলকেন্দ্র, থানা এখানে বানিয়ে দিই।” কিন্তু তারপরও যে হুঁশ ফেরেনি, সে কথাও বলেন মমতা।

পাশাপাশি হোটেলগুলোর আদৌ অনুমতি রয়েছে কিনা, সমস্ত রকমে ব্যবস্থা রয়েছে কিনা, তা দেখার জন্য পুলিশ-দমকলকে সারপ্রাইজ ভিজিট করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, “পুলিশ, দমকলকে সারপ্রাইজ ভিজিট করতে বলব। কোনও স্থানীয় প্রতিনিধি এতে মদত দেয়, তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।”

কেবল হোটেল-মার্কেট নয় অর্থাৎ ব্যবসায়ীদেরই নয়, জোড়াসাঁকো-বড়বাজার সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বিপদজ্জনক বাড়ির বাসিন্দাদেরও সতর্ক করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জোড়াসাঁকোতেও এরকম অনেক বিল্ডিং আছে।  কর্পোরেশনকে বলব, এরকম কোনও বিল্ডিংয়ে বসবাসের অনুমতি না দিতে, যা পারমিশন দেওয়া হয়ে গিয়েছে, সেগুলোকে আবার খতিয়ে দেখতে হবে। যে বিল্ডিংগুলোকে ভেঙে ফেলে দেওয়া হবে বলে নোটিস দেওয়া হয়েছে, সেসব বাড়ির বাসিন্দাদের বলব, আপনাদের জীবন বাঁচানোর জন্যই এই পদক্ষেপ, আপনাদের বের করে দেওয়া নয়।”

তিনি বলেন, “আমি পুরসভা-পুলিশকে বলব, যদি ওই সব বাড়ির বাসিন্দাদের কিছুদিনের জন্য সরিয়ে দেন। যদি তাঁরা নিজেরাই বাড়িটা ঠিক করেন, তার ব্যবস্থাও করে দেওয়া হবে।”  পুলিশ, দমকল, পুরসভার সঙ্গে বসে মিটিং করে বাড়ি সারানোর ব্যাপারে বাসিন্দাদের উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এ ব্যাপারে একটি কমিটি তৈরি করা হবে বলেও জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

শেষে মুখ্যমন্ত্রী বড়বাজারের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, “আগুন নিয়ে খেলবেন না, আমি আশা করব,  সব ব্যবসায়ী, ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন, অর্গানাইজেশন সকলে আমার কথাটা বুঝতে পারবেন। যাঁরা বিপজ্জনক বাড়িতে থাকেন, সে সব বাসিন্দারাও বুঝবেন। আমাকে গালি দিতে পারেন, কিন্তু জীবন নিয়ে খেলবেন না।”

শুক্রবার মাধ্যমিকের রেজাল্ট। সবার আগে রেজাল্ট জানতে এখনই নথিভুক্ত করে ফেলুন এই ফর্মে-