
কলকাতা: ভারত সরকার যতক্ষণ না পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দিচ্ছে, তখন নেপাল নিয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার আগে নিজের রাজ্যে সীমান্তবর্তী এলাকার জন্য বিশেষ পরামর্শ দিয়ে গেলেন তিনি। মমতা বলেন, “নেপাল আমাদের দেশ নয়। বিদেশ। আমি কোনওমতেই বিদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করতে পারি না। গোটা বিষয়টিতে ভারত সরকার নজর রেখেছে। আমি বলতে পারি না। তবে আমরা নেপাল ভালবাসি, ভালবাসি, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশকেও।”
নেপালের পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যখন ভারত সরকার এই নিয়ে কোনও বিবৃতি দেবে, তারপরই আমি কিছু বলতে পারি। আমার শুধু আবেদন থাকবে, শিলিগুড়ি, কালিম্পং, আমাদের বিস্তীর্ণ অঞ্চল বর্ডার রয়েছে, সবাইকে শান্তি বজায় রাখতে। কেউ যাতে কোনও সমস্যায় জড়িয়ে না পড়েন। যেহেতু এটা আমাদের ব্যাপার নয়। তারা তাদেরটা ঠিক করুক। প্রতিবেশী ভাল থাকলে, আমরাও ভাল থাকি।”
উল্লেখ্য, দুর্নীতির বিরুদ্ধে নেপালে ফুঁসছে জনসমাজ। বাংলাদেশ মডেলেই নেপালে এই মুহূর্তে চলছে পালাবদল। ওসি সরকারের বিরুদ্ধে গণ অভ্যুত্থান। বাংলাদেশের পরিস্থিতির যেন পুনরাবৃত্তি নেপালেও। কারণ সেখানেই বিক্ষোভের মুখে পড়ে দেশ ছাড়তে পারেন ওলি। জল্পনা তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই গণবিক্ষোভ, প্রবল চাপের মুখে পড়ে ইস্তফা দিয়েছেন ওলি। ওলি সরকারে ১১ জন মন্ত্রীও ইস্তফা দিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। চলছে গুলি। সংসদে ভবনে আগুন ধরিয়েছেন উন্মত্ত জনতা। ইতিমধ্যেই পুলিশের গুলিতে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
ইতিমধ্যেই নেপালের পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পানিট্যাঙ্কি, কাকড়ভিটার বাড়তি নজরদারি চলছে। দার্জিলিঙের এসপি-র সঙ্গে কথা বলেছেন ডিজি।