Mamata Banerjee – Idris Ali: বুঝে শুনে কথা বলতে হবে, ‘বেলাগাম’ ইদ্রিসকে ‘ধমক’ মমতার
Mamata Banerjee: শাসক দলের বিধায়কের মুখে বেলাগাম আক্রমণের পর আরও সুর চড়াতে শুরু করেছিল বিরোধীরা। এবার এই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ধমক খেলেন ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক।

কলকাতা: তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলির (Idris Ali) সাম্প্রতিক বেশ কিছু মন্তব্য জোর বিতর্ক তৈরি করেছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। কিছুদিন আগে কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচির গ্রেফতারি ইস্যুতে ইদ্রিস বলেছিলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বই লিখে যদি কেউ অপপ্রচার করার চেষ্টা করে, তাহলে হাত-পা কেটে নেওয়া হবে। জিভ কেটে নেওয়া হবে।’ শুধু তাই নয়, যাঁরা এরকম করবেন, তাঁদের মুখমণ্ডল পাল্টে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি। শাসক দলের বিধায়কের মুখে এ হেন আক্রমণের পর আরও সুর চড়াতে শুরু করেছিল বিরোধীরা। এবার এই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে ধমক খেলেন ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক। ইদ্রিসকে মুখে লাগাম টানার কথা বলেছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো।
জানা যাচ্ছে, ঘটনাটি ঘটেছে দিন কয়েক আগে। কিছুদিন আগে বিধানসভায় এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন অধিবেশন কক্ষে ঢোকার সময়েই ইদ্রিসের সঙ্গে দেখা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। সেই সময়েই মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বলেন, বুঝে শুনে কথা বলতে। এভাবে যেন কোনও কথা বলা না হয়। যদিও ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক এই ধমক খাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে বিধায়কের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, এমন ঘটনা ঘটেছিল।
উল্লেখ্য, শুধু কৌস্তভ বাগচির গ্রেফতারি ইস্যুই নয়, সাম্প্রতিককালে একাধিকবার বেফাঁস মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলিকে। তৃণমূলপন্থী বুদ্ধিজীবী বলে পরিচিত শুভাপ্রসন্নর কাক ও দাওয়াতের মতো শব্দগুলি বাংলার ব্যবহারে আপত্তি ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, সেই নিয়ে শিল্পীকে খোঁচা দিয়েছিলেন ইদ্রিস। বিধায়ক বলেছিলেন, ওরকম কাক আঁকা শিল্পী অনেক আছেন। মমতা ছাড়া শুভাপ্রসন্নর কোনও দাম নেই বলেও দাবি করেছিলেন ইদ্রিস। প্রশ্ন তুলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্পর্শে না এলে শুভাপ্রসন্নকে কতজন চিনতেন?
ইদ্রিস আলির এমন একের পর এক বেলাগাম মন্তব্য দলকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলছিল বলেই খবর। দিন কয়েক আগে বিধানসভায় ইদ্রিসের সঙ্গে দেখা হতেই বিধায়ককে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো সাবধান করে দেওয়া স্বাভাবিকভাবেই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
