‘আমাদের হাতেও আইন আছে, কিন্তু প্রয়োগ করতে চাই না,’ বিপ্লব প্রশাসনকে মমতার ‘শাসানি’

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঋদ্ধীশ দত্ত

Aug 12, 2021 | 6:23 PM

ত্রিপুরায় বিপ্লব দেব সরকারকে 'বর্বর সরকার, নিষ্ঠুর সরকার, নির্দয় সরকার, পাশবিক সরকার' বলে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী।

আমাদের হাতেও আইন আছে, কিন্তু প্রয়োগ করতে চাই না, বিপ্লব প্রশাসনকে মমতার শাসানি
যে চার ওয়ার্ড নজরে তৃণমূলের। ছবি-PTI

Follow Us

কলকাতা: ত্রিপুরায় তৃণমূলের প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ার আগেই তাদের রুখে দিতে এ বার আরও কড়া পথে হাঁটছে বিপ্লব দেব প্রশাসন। যা নিয়ে বৃহস্পতিবার কিছুটা চ্যালেঞ্জের সুরে পালটা হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন থেকে বেরিয়ে কালীঘাট ফেরার পথে এ দিন এসএসকেএম হাসপাতালে ঢুকে তিনি তৃণমূলের যুব নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপির বিরুদ্ধে। ত্রিপুরায় বিপ্লব দেব সরকারকে তিনি ‘বর্বর সরকার, নিষ্ঠুর সরকার, নির্দয় সরকার, পাশবিক সরকার’ বলে তোপ দাগেন।

ঘটনা হচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টা যাবত তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে রীতিমতো অ্যাকশন মোডে রয়েছে ত্রিপুরা সরকার। সবার প্রথম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। যুব তৃণমূলের বাকি কর্মীদের বিরুদ্ধেও জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হতে পারে বলে খবর পুলিশ সূত্রে। এমনকী, তাঁরা ত্রিপুরায় পা রাখলেই তাঁদের গ্রেফতার করা হতে পারে, এমন সম্ভবনাও তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি সুদীপ রাহা ও জয়া দত্তকে দেখতে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী।

হাসপাতালে পৌঁছে তিনি বলেন, “ওদের কাজ নেই কর্ম নেই। বর্বর সরকার, নিষ্ঠুর সরকার, নির্দয় সরকার, পাশবিক সরকার। যেটা বিজেপি শাসিত রাজ্য, সেখানে কাউকেই কথা বলতে দেওয়া হয় না। এভাবে চলবে না, আমরা লড়ে নেব। সবার নামে এফআইআর করে যদি মনে করে, যে নামলেই অ্যারেস্ট করে নেব। তবে ওদেরও মনে রাখতে হবে, এখানে আইন আমাদের হাতেও আছে। আমরা সেটা প্রয়োগ করতে চাই না। আশা করব, চ্যারিটি যেন ঘর থেকেই শুরু হয়।”

তিনি আরও বলেন, “আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করতে চাই, এখন উনি কী বলবেন? কটা মানবাধিকার, আদিবাসী, মহিলা কমিশন এসেছে এখন? কটা কেস হয়েছে আদালতে! একটা থানায় কথা বলতে গিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করে রেখে দিয়েছে যেন মনে হচ্ছে তাঁরা ক্রিমিনাল। অরাজকতার রাজ্য চলছে। বিজেপির একজনও ভোট দেওয়া উচিত না।”

গোটা বিষয়টি নিয়ে পালটা প্রতিক্রিয়া দিতে ছাড়েনি বিজেপিও। দলের সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু এই প্রসঙ্গে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ দলদাস। প্রত্যেক দিন আমাদের নামে কেস হয়। প্রত্যেক সপ্তাহে একটা করে ওয়ারেন্ট ইস্যু করে প্রত্যেক মাসে একটা কোর্টে ডেট ফেলে। এই ধরনের কথা বলার কোনও মানে হয় না। পুলিশ পুলিশের কাজ করবে।” আরও পড়ুন:  ‘বাংলায় তো রোজ বিজেপিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে, ত্রিপুরা নিয়ে এত সরব কেন?’, কুণালকে কটাক্ষ সায়ন্তনের

Next Article