‘বাংলায় তো রোজ বিজেপিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে, ত্রিপুরা নিয়ে এত সরব কেন?’, কুণালকে কটাক্ষ সায়ন্তনের

Sayantan Basu: প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা কাণ্ডে দুদিন আগেই সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেন কুণাল ঘোষ।

'বাংলায় তো রোজ বিজেপিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে, ত্রিপুরা নিয়ে এত সরব কেন?', কুণালকে কটাক্ষ সায়ন্তনের
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 12, 2021 | 1:05 PM

কলকাতা: বাংলায় বিজেপিকে রোজ বাধা দেওয়া হচ্ছে। ত্রিপুরার ঘটনা নিয়ে সরব কেন? এবার প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu)।

বৃহস্পতিবার সল্টলেকের বিডি মার্কেটে চা চক্রে যোগ দেন তিনি। ত্রিপুরা ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, “ওঁর কোনও অধিকারই নেই। আট দশ জন পুলিশের কাজই ছিল পুলিসের ভ্যানে চাপড় মারা বা থালা বাজানো। তার আওয়াজে কিছু বলতে না পারে।”

প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা খোয়াই থানায় বিক্ষোভ দেখানোর পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ পাঁচ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ত্রিপুরা পুলিশের এফআইআর দায়েরের পর টুইট করেন কুণাল ঘোষ।  তিনি বলেন, “ত্রিপুরা পুলিশ বিজেপির দলদাসে পরিণত হয়েছে। অতিসক্রিয় হয়ে রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের লোকজনকে ধরপাকড় করছে।” তাঁর অভিযোগ, আমবাসায় রাতভর তাণ্ডব চালিয়েছে পুলিশ। দেবাংশু, জয়াদের গাড়ির চালক সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জামিনপ্রাপ্ত জয়া, দেবাংশুদেরও পুলিশ নতুন করে গ্রেফতারের ছক কষছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কুণাল।

এরই প্রেক্ষিতে সায়ন্তন পাল্টা কুণালকে কটাক্ষ করে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ দলদাস। প্রত্যেক দিন আমাদের নামে কেস হয়। প্রত্যেক সপ্তাহে একটা করে ওয়ারেন্ট ইস্যু করে প্রত্যেক মাসে একটা কোর্টে ডেট ফেলে। এই ধরনের কথা বলার কোনও মানে হয় না ।পুলিশ পুলিশের কাজ করবে।”

ত্রিপুরা কাণ্ড নিয়ে বারবার সরব হতে দেখা যাচ্ছে কুণাল ঘোষকে। দুদিন আগেই সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “বাংলায় জে পি নাড্ডা থাকাকালীন বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের মধ্যে পড়েন। নাড্ডার গাড়ির ওপর হামলা, তিনজন আইপিএসকে অ্যাটাচ করা হয়েছিল। ত্রিপুরায় তৃণমূলের ওপর হামলা হয়েছে, জোর করে আটকে রাখা হয়েছে।” তিনি প্রশ্ন তোলেন, “অভিষেকের গাড়িতে হামলা নিয়ে কতজন আইপিএসকে তলব করা হয়েছে? জোর করে মারধর করে তৃণমূলকে দমন করা যাবে না।”

এরইমধ্যে বুধবার তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন খোয়াই থানার ওসি মনোরঞ্জন দেব বর্মা। অভিযোগ হয়েছে দোলা সেন, কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, সুবল ভৌমিক ও প্রকাশচন্দ্র দাসের বিরুদ্ধেও। তাঁদের বিরুদ্ধে মূলত ২টি ধারায় মামলা করা হয়েছে। ১৮৬ ও ৩৪ নম্বর- এই দুটি ধারায় সরকারি কাজে বাধা দান ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে।

এরপরই  পাল্টা টুইট করেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন,”আমরা আসল হামলাকারীদের গ্রেফতারি চেয়েছি। তাদের ছবিও অনেকের কাছে রয়েছে। তার বদলে আক্রান্তরা গ্রেফতার। প্রতিবাদীরা গ্রেফতার হয়েছে। আসলে ত্রিপুরায় ভয় পেয়েছে বিজেপি।” বৃহস্পতিবার সকালে সল্টলেকে চায়ে পে চর্চা অনুষ্ঠানে প্রসঙ্গ উঠলে তারই পাল্টা দেন সায়ন্তন বসুও। আরও পড়ুন: ‘পাহাড়ে বিমলের জনাধার নেই, রয়েছে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই’, কটাক্ষ সায়ন্তনের