Behala: শরীর থেকে ছিন্ন হয়ে যায় পার্থর বা হাত, মাথা থেঁতলে যায় সুপর্ণা, তিন বছরের ছেলেকে নিয়ে বাইক রাইডে গিয়ে ভয়ঙ্কর পরিণতি বেহালার দম্পতির
Behala Accident: কোলাঘাটে সেখানে টিফিন করে তিন বছরের ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে বাইকেই সিমলিপালের উদ্দেশে রওনা দেন পার্থ। পরিবার সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে ঠিক সকাল আটটার সময় যখন হাইওয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রচুর কুয়াশা ছিল। সহযাত্রীরা জানাচ্ছেন, পার্থ সঠিক রুট দিয়েই বাইক চালাচ্ছিলেন। কিন্তু দৃশ্যমানতা এতটাই কম ছিল, উল্টো দিক থেকে একটি ট্রাক নজরে পড়েনি।

কলকাতা: ওড়িশা সিমলিপালে রাইডে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে কলকাতার দম্পতি ও তাঁদের শিশুসন্তান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম পার্থ ঘোষ। বেহালার বাসিন্দা পার্থ ঘোষ ও তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা তিন বছরের সন্তানকে নিয়ে গিয়েছিলেন ওড়িশার সিমলিপালে। একটি গ্রুপে ঘুরতে গিয়েছিলেন তাঁরা। দলে ছিলেন আরও ৩৭ জন। শনিবার সকাল চারটেয় তাঁরা বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলেন। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, রাইডে তিনটি চার চাকা গাড়ি, ১৭ টি বাইক ছিল। ভোর চারটের সময় বেরিয়ে সকাল সাড়ে সাতটার সময় তাঁরা কোলাঘাটে গিয়ে পৌঁছন।
কোলাঘাটে সেখানে টিফিন করে তিন বছরের ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে বাইকেই সিমলিপালের উদ্দেশে রওনা দেন পার্থ। পরিবার সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে ঠিক সকাল আটটার সময় যখন হাইওয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রচুর কুয়াশা ছিল। সহযাত্রীরা জানাচ্ছেন, পার্থ সঠিক রুট দিয়েই বাইক চালাচ্ছিলেন। কিন্তু দৃশ্যমানতা এতটাই কম ছিল, উল্টো দিক থেকে একটি ট্রাক নজরে পড়েনি। মুখোমুখি সংঘর্ষে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পার্থর। বাম হাত শরীর থেকে ছিন্ন হয়ে যায়। মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা। কোমাতে রয়েছেন তিনি। তবে তিন বছরের শিশুটির মায়ের কোলে থাকার জন্য, তার শরীরে একটাও আঁচ লাগেনি।
পরিবারের শোকের ছায়া। একমাত্র পরিবারের সন্তান ছিলেন পার্থ ঘোষ। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা মা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ পনেরো বছর ধরে পার্থ এবং তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা দুজনে এক সঙ্গে রাইড যেতেন। ঘটনার আকস্মিকতায় স্তব্ধ প্রতিবেশীরাও।
তাঁদেরই এক সহযাত্রী বলেন, “সুপর্ণা দি ও আর বাচ্চা ছেলেটা প্রথমে গাড়িতেই ছিল। কিন্তু বাচ্চাটার গাড়িতে বমি হচ্ছিল, আর বলছিল পাপার বাইকে যাবে। বাচ্চা নিয়ে ওরা এর আগেও বাইকে পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছে। কোলাঘাটে সুপর্ণা দি বাচ্চা নিয়ে পার্থ দার বাইকেই উঠে যায়। আমরা মোটামুটি সবাই কাছাকাছিই ছিলাম। পার্থ দাই আমাদের টিমটা পরিচালনা করত।”
