GRAMG Becomes Law: ১০০ নয়, এবার ১২৫ দিন! রাষ্ট্রপতির সইয়ে আইনে পরিণত হল ‘জিরামজি’
GRAMG Becomes Law After Presidential Assent: লোকসভায় পাশ হয়েছিল এই জিরামজি বিল। রাজ্যসভায় পাশ হয়েছিল মধ্যরাতে। তারপর তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাষ্ট্রপতির কাছে। অবশেষে রবিবার সেই বিলে স্বাক্ষর করে দিলেন রাষ্ট্রপতি। মনরেগাকে 'সরিয়ে' গ্রামীণ রোজগারকে সুনিশ্চিত করতে মোদী সরকারের আনা নতুন বিল সংসদে পেশের পর আইনে পরিণত হল মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে।

নয়াদিল্লি: সপ্তাহ শেষে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর থেকে অনুমোদন পেয়ে আইনে পরিণত হল মোদী সরকারের আনা বিকশিত ভারত-গ্যারান্টি ফর রোজগার অ্যান্ড আজীবিকা মিশন (গ্রামীণ) বিল। সংক্ষেপে বলতে গেলে, ‘জিরামজি’ বিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে লোকসভায় পাশ হয়েছিল এই জিরামজি বিল। রাজ্যসভায় পাশ হয়েছিল মধ্যরাতে। তারপর তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাষ্ট্রপতির কাছে। অবশেষে রবিবার সেই বিলে স্বাক্ষর করে দিলেন রাষ্ট্রপতি। মনরেগাকে ‘সরিয়ে’ গ্রামীণ রোজগারকে সুনিশ্চিত করতে মোদী সরকারের আনা নতুন বিল সংসদে পেশের পর আইনে পরিণত হল মাত্র পাঁচদিনের ব্যবধানে।
মনমোহন সিংয়ের জমানায় শুরু হয়েছিল মহাত্মা গান্ধী ন্যাশানাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্য়াক্ট বা মনরেগা। তবে দেশের জনসাধারণের কাছে এটি ছিল ১০০ দিনের কাজ। এবার সেই আইনী কাঠামোতেই বদল ঘটাল কেন্দ্রীয় সরকার। ২০৪৭ সালের মধ্য়ে বিকশিত ভারত তৈরির উদ্য়োগকে সামনে রেখেই মোদী সরকার আনল ভিবি জিরামজি বিল। যা এবার পরিণত হল আইনে।
মনরেগার থেকে কোথায় গিয়ে ফারাক রয়েছে এই আইনের?
এই আইনের ধারা ৫-এর ১ বলা হয়েছে, এবার থেকে ১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টি নয়। বরং উপভোক্তাদের দেওয়া হবে ন্যূনতম ১২৫ দিনের কাজের গ্যারান্টি। তবে তফসিলি উপজাতি ভুক্ত নাগরিকরা — যাঁরা বনাঞ্চলে থাকেন, তাঁদের দেওয়া ১৫০ দিনের কাজের গ্য়ারান্টি। এছাড়াও ফসল কাটার মরসুমে দেওয়া হবে ৬০ দিনের ছাড়। বাকি ৩০৫ দিনের মধ্যে পূর্ণ হবে ১২৫ দিনের কাজের গ্যারান্টি।
তবে বিরোধীদের অভিযোগ, কাজের দিন বাড়িয়ে কি লাভ? বছর বছর ধরে একই মজুরিই দিয়ে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু তা-ই নয়, আরও একাধিক তাত্ত্বিক ফারাক রয়েছে মনরেগা এবং জিরামজি-র মধ্যে। যেমন পূর্বে মনরেগার সম্পূর্ণ অনুদানের দায়িত্ব ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের কাঁধে। তবে এবার কিছুটা দায়িত্ব রাজ্যের দিকেও ঠেলে দিয়েছে মোদী সরকার। জিরামজি-র জন্য অর্থ বরাদ্দ হবে ৬০:৪০ অনুপাতে। অবশ্য কংগ্রেসের মতে, এর মাধ্যমে রাজ্যগুলির উপর চাপ তৈরির চেষ্টা করছে কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত জিরামজি বিল, আইনে পরিণত হওয়ার আগের দিনই এটিকে ‘কালো আইন’ বলে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী। তাঁর অভিযোগ, একদিকে মহাত্মা গান্ধীর নামের উপর ‘বুলডোজ়ার’ চালানো হচ্ছে। সঙ্গে কারা কর্মসংস্থান পাবেন, কতটা কাজ দেওয়া হবে, কোথায় কাজ দেওয়া হবে, সেই সকল ক্ষমতা নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।
