৩ মন্ত্রীকে বেদম ঝাড়! প্রশাসনিক বৈঠকে রুদ্রমূর্তি মমতার

সৌমেন মহাপাত্র, মলয় ঘটক ও অরূপ রায়; বুধবার এই ৩ মন্ত্রীকে মারাত্মক বকাঝকা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

৩ মন্ত্রীকে বেদম ঝাড়! প্রশাসনিক বৈঠকে রুদ্রমূর্তি মমতার
অলংকরণ-অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 18, 2021 | 7:26 PM

কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও মন্ত্রী নয়, মুখ্যমন্ত্রীর তোপের মুখে এ বার পড়তে হল তাঁরই মন্ত্রিসভার ৩ মন্ত্রীকে। সৌমেন মহাপাত্র, মলয় ঘটক ও অরূপ রায়; বুধবার এই ৩ মন্ত্রীকে মারাত্মক বকাঝকা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর এমনটাই।

তৃতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর বুধবার সচিবালয়ে প্রথমবার প্রশাসনিক বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, এই বৈঠকেই তিনটি ভিন্ন বিষয়ে রাজ্যের ৩ মন্ত্রীকে নিশানায় নেন মমতা। গাফিলতির জন্য ছেড়ে কথা বললেননি প্রশাসনিক কর্তাদেরও। দুর্নীতির বিষয়েও যে তিনি এ বার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিতে চলেছেন, সেটাও স্পষ্ট করে দেন।

মমতার নিশানায় এ দিন সবার প্রথমেই ছিলেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। সবার প্রথম ইয়াস ও ইদানীং অতিবৃষ্টির জেরে বন্যায় রাজ্যের বাঁধগুলি বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই নিয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করে তাঁকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবিতে দিল্লিতে দরবার করতে বলেছিলেন মমতা। কিন্তু সূত্রের খবর, সৌমেন তাতে কর্ণপাত করেননি। যা নিয়ে বুধবার মারাত্মক ক্ষোভপ্রকাশ করেন মমতা। বলেন, “১০ দিন আগে তোমাকে বলেছিলাম দিল্লিতে যেতে। কেন যাওনি?”

এর পরেই নেত্রীর নজর যায় সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের দিকে। সমবায় ব্যাঙ্কে অডিট না হওয়া নিয়ে তাঁকে দু-কথা শুনিয়ে দেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর বলেন, “কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের অডিট কেন হচ্ছে না? স্পেশাল অডিট করতে গেলেও কি হাইকোর্টের অনুমতি প্রয়োজন?” প্রশ্ন শুনে চুপ করে যান অরূপ। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কে স্পেশাল অডিটের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। ওই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান হলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট ওই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে।

শেষে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে বকাঝকা করেন মমতা। সূত্রের খবর, হাইকোর্টে একটি জুডিশিয়াল মিউজিয়াম তৈরি করার কথা ছিল। কিন্তু সেই মিউজিয়াম তৈরি নিয়ে গড়িমসি নিয়ে মলয়কে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি তাঁর স্পষ্ট বার্তা, দলের নেতা হোক বা প্রশাসনিক কর্তা, বালিচুরি এবং কয়লা চুরির মতো ঘটনায় কাউকে রেয়াত করা হবে না। দুয়ারে সরকার প্রকল্প চলাকালীন একাধিক অভিযোগ পাওয়া সত্ত্বেও পর্যাপ্ত পদক্ষেপ না করার কারণে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসককেও তিনি তোপ দেগেছেন বলে খবর নবান্ন সূত্রে। আরও পড়ুন: তালিবানের দেশে আটকে বাংলার অন্তত ২০০ জন, কীভাবে ফেরানো হবে জানালেন মমতা