Durgangan: বাজেট ২৬১ কোটি ৯৯ লক্ষ, ‘দুর্গাঙ্গন’ কোনও সাধারণ মন্দির নয়, কী থাকছে সেখানে
New Town: দুর্গাঙ্গনের খরচ নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক রয়ে গিয়েছে। সরকারি টাকায় মন্দির তৈরি করা যায় না বলেই দাবি করে আসছেন বিরোধীরা। তবে সরকারের দাবি, এই দুর্গাঙ্গনের সঙ্গে ধর্মের কোনও যোগ নেই।

কলকাতা: একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, বাংলায় তৈরি হবে ‘দুর্গাঙ্গন’। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। বেড়েছে পর্যটকদের আনাগোনা। দিঘার বাণিজ্যও নতুন গতি পেয়েছে। এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বাংলায় আরও এক মন্দিরের শিলান্যাস। এই মন্দির তৈরি হচ্ছে কলকাতা শহরের একেবারে উপকন্ঠে। দিঘার মতোই এই মন্দির তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হিডকোকেই। তবে প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এই মন্দির আর পাঁচটা সাধারণ মন্দিরের মতো নয়।
কেমন হবে দুর্গাঙ্গন? কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
আজ, সোমবার নিউ টাউনে দুর্গাঙ্গনের শিলান্যাস করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলান্যাস হলেই শুরু হয়ে যাবে মন্দির তৈরির কাজ।
২০২৭-এর সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে। তারপরই সাধারণ মানুষের জন্য খুলে যাবে সেই মন্দির।
দুর্গাঙ্গনের জন্য বাজেট ধার্য করা হয়েছে, ২৬১ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা।
শুধু মন্দির নয়, এই অঙ্গনে থাকবে একটি মিউজিয়ামও। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পূজার সঙ্গে সম্পর্কিত শিল্পকলা, পৌরানিক কাহিনী জায়গা পাবে ওই মিউজিয়ামে।
হিডকো ও পর্যটন দফতরের দায়িত্বে থাকবে এই মন্দির। এই মন্দিরকে ঘিরে বাংলায় পর্যটন শিল্পের অগ্রগতি হবে বলেই অনুমান প্রশাসনের।
বছর তিনের আগে আগে বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড ইনট্যানজিবেল হেরিটেজ’ তকমা পেয়েছে। সেই স্বীকৃতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করতেই দুর্গাঙ্গন তৈরির সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের।
দুর্গাঙ্গনের খরচ নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক রয়ে গিয়েছে। সরকারি টাকায় মন্দির তৈরি করা যায় না বলেই দাবি করে আসছেন বিরোধীরা। তবে সরকারের দাবি, এই দুর্গাঙ্গনের সঙ্গে ধর্মের কোনও যোগ নেই।
