
কলকাতা: মাঝে কয়েকদিনের ব্যবধান। দেশের নির্বাচন কমিশনকে ফের চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ডেটা এন্ট্রি অপারেটর এবং আবাসনে ভোটকেন্দ্রের মতো দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সরব হলেন তিনি। পাশাপাশি, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের উদ্দেশে দেওয়া চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘চুক্তিভিত্তিক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের দিয়ে কাজ করানো যাবে না বলে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এমনকি, বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের কর্মীদের দিয়েও কাজ না করানোর স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও রাজ্যের সিইও অফিস কীভাবে ১ হাজার ডেটা এন্ট্রি অপারেটর এবং ৫০ জন সফ্টওয়্যার ডেভেলপার নিয়োগের প্রস্তাব দিল?’
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দফতরের এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে ‘রাজনৈতিক প্ররোচনা’ থাকতে পারে বলেই চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মমতা। তিনি লিখেছেন, ‘বাইরের কোনও সংস্থাকে দিয়ে এই কাজ করানোর কেন প্রয়োজন পড়ল? কোনও রাজনৈতিক দলের স্বার্থপূরণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি তো?’
Sharing herewith my today’s letter to the Chief Election Commissioner, articulating my serious concerns in respect of two latest and disturbing developments. pic.twitter.com/JhkFkF6RWs
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) November 24, 2025
এখানেই কিন্তু ক্ষান্ত হননি মমতা। কীভাবে কমিশন কোনও বেসরকারি আবাসনে ভোটকেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি। চিঠিতে লিখেছেন, ‘আমি জানতে পারলাম, নির্বাচন কমিশন বেসরকারি আবাসনগুলিতে ভোটকেন্দ্র তৈরির কথা ভাবছে। ডিইও-দের কাছে এই নিয়ে পরামর্শও চেয়েছে তাঁরা।’
কিন্তু এই প্রস্তাব যথার্থ নয় বলেই দাবি তাঁর। মমতার কথায়, ‘কোনও সরকারি বা আধা-সরকারি জায়গাতেই ভোটকেন্দ্র হওয়া প্রয়োজন। বেসরকারি কোনও ক্ষেত্র সাধারণ ভাবেই এই কাজের জন্য উপযুক্ত নয়। এর নেপথ্যে একটা যুক্তিযুক্ত কারণও রয়েছে। মূলত, এই সকল জায়গাগুলিতে নিয়ম লঙ্ঘনের সম্ভবনা বেশি থাকে।’ কিন্তু এরপরেও কেন কমিশন কীভাবে বেসরকারি আবাসনে ভোটকেন্দ্র তৈরির কথা ভাবছে, তা নিয়েই চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী। দাবি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের হস্তক্ষেপের।