
কলকাতা: যুবভারতীকাণ্ডে ছবি বিতর্কে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন অরূপ বিশ্বাস। এদিকে, আবার মঙ্গলবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর গড়ে দেওয়া প্রাক্তন বিচারপতি অসীমকুমার রায়ের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি রিপোর্ট জমা, আর তারপরই ডিজিপি রাজীব কুমারের শোকজ। যুবভারতীকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী কড়া পদক্ষেপ। কিন্তু এই সবই ‘আইওয়্যাশ’ বললেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অরূপ বিশ্বাসের অব্যাহতি নয়, তাঁর গ্রেফতারি দাবি করলেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, “আমরা অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসুর গ্রেফতার চাই। যুবদের আবেগে আঘাত করেছেন। টাকাগুলো ফেরত দিন। দর্শকদের পিটিয়েছে পুলিশ, জেলে ঢোকান হয়েছে। তাঁদের জামিন দেওয়া হোক।”
অরূপ বিশ্বাস যে নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি দিতে চান, সে কথা আবার সামনে আনেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও। তাঁর বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রী রাজধর্ম পালন করেছেন।” কিন্তু গত শনিবার যে ধরনের পরিস্থিতি স্টেডিয়ামে তৈরি হয়েছিল, তাতে বিতর্ক এখনও এড়ানো যায়নি। কারণ সেদিন খোদ মুখ্যমন্ত্রীই স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারেননি। পরিস্থিতি যা তৈরি হয়েছিল, তাতে রীতিমতো গাড়ি ঘুরিয়ে ফেরত যেতে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। আর একটা গোটা পরিস্থিতির মাঝে সামাজিক মাধ্যমে জ্বলজ্বল করেছে মেসির সঙ্গে অরূপ বিশ্বাসের ছবি। বারবার দর্শকদের তরফে অভিযোগ উঠেছে, সেদিন যেভাবে মেসিকে ঘিরে রাখা হয়েছিল, যত অনাকাঙ্খিত লোকের ভিড় ছিল, তাতে হাজার হাজার টাকা দিয়ে যাঁরা টিকিট কেটে এসেছিলেন মেসিকে দেখবেন বলে, তাঁরা হতাশ হয়েছিলেন, ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন। তাতে বেশ কিছু অনাকাঙ্খিত ছবিও ধরা পড়েছিল স্টেডিয়ামে।
আর এই পরিস্থিতি মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে চলে যাওয়ার বিষয়টিকেই ইস্যু করেছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর বক্তব্য, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ১৫ বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্বকালে এই প্রথম গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। মেসিকে নিয়েও কয়েকশো কোটি টাকার চুরি হয়েছে।”
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় প্রশাসন আয়োজকদের গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। তাতে কমিটির রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই ডিজিপি রাজীব কুমারকে শোকজ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেটাকে ‘আইওয়্যাশ’ বলেছেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, “ডিজিপি রাজীব কুমারকে শোকজ আইওয়্যাশ। রাজীব কুমার এই রাজ্যের অলিখিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।”