কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর বিমানে বিপত্তি। কারণ জানতে চেয়ে কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তাকে চিঠি। তদন্ত চেয়ে সি পট্টাভিকে চিঠি রাজ্য সরকারের। তদন্ত শুরু কলকাতা বিমানবন্দরের। ৪ মার্চ বারণসী থেকে ফেরার পথে মমতার বিমানে বিপত্তি। গত শুক্রবার উত্তরপ্রদেশ সফর সেরে কলকাতায় ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেরার সময়েই বড় দুর্যোগের মধ্যে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমান আট হাজার ফুট থেকে নীচে নেমে যায়। বিমান বিভ্রাট নিয়ে একাধিক প্রশ্নও ওঠে। কলকাতায় নেমে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাট কাণ্ডের তদন্ত চালাচ্ছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন।
মুখ্যমন্ত্রী সোমবারই বিধানসভায় বিমান বিভ্রাটের কারণ জানান। তাঁর বক্তব্য, আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনা নয়। আবহাওয়া খারাপ ছিল না। সামনে অন্য বিমান এসে পড়াতেই বিভ্রাট। ১০ সেকেন্ডের মধ্যেই পাইলট গোটা বিষয়টি সামলে নিয়েছেন। ৮ হাজার ফুট নীচে নামতে হয়েছিল বিমানটিকে। যার ফলে কোমরে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। এখনও তাঁর কোমরে বেশ খানিকটা ব্যথা রয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। গোটা ঘটনার পিছনে আবহাওয়া নয়, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের বিষয়টি প্রশ্নের মুখে পড়ে।
বিষয়টি এবার অভিযোগ আকারে রাজ্য প্রশাসন কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা সি পট্টাভিকে চিঠি করেছে। এরপরই কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক কলকাতা বিমানবন্দরকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। সেদিন এটিসি-র যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বিমানের চালক ও উল্টোদিকে উপকূলরক্ষী বাহিনীর যে বিমান চলে এসেছিল বলে খবর, সেই বিমানের চালকের সঙ্গেও কথা বলা হবে। ২ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী যখন বারাণসী যাচ্ছিলেন, সে সময় একটি হেলিকপ্টারও তাঁর ব্যক্তিগত বিমানের মুখোমুখি চলে আসে। সেই ঘটনারও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এয়ার কন্ট্রোলের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল ইউনিয়ন। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই বিষয়টিকেই স্বীকৃতি দিয়েছেন। , মুখ্যমন্ত্রীর বিমান কোন রুটে আসবে তা তো আগে থেকেই জানা ছিল এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের। কিন্তু কেন যাত্রাপথ ফাঁকা রাখা হয়নি, সেটাই এখন মূল তদন্তের বিষয়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্য ২০২৪! সংগঠন শক্তিশালী করতে মানস-রাজীব-সব্যসাচীকে নতুন দায়িত্ব দিলেন মমতা