
কলকাতা: সতর্ক রেলপুলিশ। সবদিকে দিচ্ছে নজরদারি। ফাঁক হলেই যে ঘটতে পারে বিপদ। কিন্তু হঠাৎ কী হল? যাত্রী নিরাপত্তায় নিয়ে কি তবে লাল সংকেত? রাজ্য জিআরপি বলছে, সতর্ক থাকতে অসুবিধা কী? কিন্তু এই সতর্কতা কীসের?
এই সতর্কতা মাওবাদী নাশকতার। গত মাসের ২৮ জুলাই থেকে ৩ অগস্ট পর্যন্ত দেশজুড়ে ‘শহিদ সপ্তাহের’ ডাক দিয়েছিল মাওবাদীরা। আর শহিদ সপ্তাহের শেষ দিন অর্থাৎ ৩রা অগস্ট ঘটে দু’টি ঘটনা। যাতে অবশ্য মাওবাদী-যোগ রয়েছে কিনা সেই নিয়ে এখনও ধন্দ আছে। তবে আগাম সতর্কতা প্রয়োজন বলেই মনে করছেন জিআরপি আধিকারিকরা।
বুধবার দেশের দু’টি রাজ্য, যা এককালে ছিল ‘রেড করিডর’ অর্থাৎ মাওবাদী প্রবণ এলাকা। সেখানেই ঘটল বিস্ফোরণ। গতকাল ওড়িশার সুন্দরগড়ে রেললাইনে ঘটে আইইডি বিস্ফোরণ। একই দিনে, একই বেলায় বিস্ফোরণ হয় গড়বেতা দিয়ে রাজধানী এক্সপ্রেস পাস করার সময়ও। কায়দা, সেটাও এক, রেললাইনে বিস্ফোরণ। দু’জায়গাতেই কানঘেঁষে বেরিয়ে যায় বড় বিপদ। কিন্তু নেপথ্যে কারা এই নিয়ে ওঠে অনেক প্রশ্ন।
এরপরেই আরও তৎপর হয়ে ওঠে রেলপুলিশ। এই ‘শহিদ সপ্তাহের’ সময়কালে বাংলা, ঝাড়খণ্ড-সহ পাঁচটি রাজ্যে বনধ ডেকেছিল মাওবাদীরা। আর শেষদিনে ঘটে গেল দু’টি বিস্ফোরণ। রেলপুলিশ সূত্রে খবর, সামনেই স্বাধীনতা দিবস। এই পরিস্থিতিতে পরপর বিস্ফোরণে উদ্বেগ বেড়েছে। ইতিমধ্য়েই শিয়ালদহ, হাওড়া, শিলিগুড়ি ও খড়্গপুর ডিভিশনে SRP-দের কাছে পৌঁছেছে নির্দেশ বলা হয়েছে। সেখানে খড়্গপুর ডিভিশনকে বাড়তি সতর্কতার কথা বলেছে রেলপুলিশ কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও, খড়্গপুর ডিভিশনে-সহ জঙ্গলমহল এলাকার রেললাইনগুলিতে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষারও নির্দেশ দিয়েছে রেলপুলিশ। পাশাপাশি, নজরদারি চালানো হবে রেল ওভার ব্রিজ, স্টেশন, কালভার্টগুলিতেও।