কলকাতা: ফের অগ্নিকাণ্ড কলকাতা শহরে। চেতলায় এক ঝুপড়িতে আগুন লাগে শুক্রবার। ঘটনাস্থলে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয়দের তৎপরতা এবং দমকল সময় মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছনোয় বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে বলে দাবি এলাকার লোকজনের। তবে এই ঘটনায় তিন শিশু দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। আহত হয় তাদের মা-বাবাও।
চেতলা হাটের একটি বস্তিতে এদিন সকালে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। একেবারে ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় পরিস্থিতি মুহূর্তে ভয়াবহ হয়ে ওঠে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন লাগার সময় ঘরে তিনটি বাচ্চা ছিল। তাদের নাম রাঘব মিশ্র, মাধব মিশ্র ও সাক্ষী মিশ্র। ছয় থেকে দশ বছরের মধ্যে তিনজনের বয়স। এর মধ্যে সাক্ষী মিশ্রের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়। তাদের তিনজনকেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
তাদের মা বাবা বীণা মিশ্র ও মুরলী মিশ্রও ঘরেই ছিলেন। কোনও মতে তাঁরা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন। কী ভাবে এই আগুন লাগল তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। তবে এলাকার লোকজনের অভিযোগ, ঘরের মধ্যে পেট্রোল মজুত থাকতে পারে। যার জেরে এতটা ভয়াবহ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন হঠাৎই ওই ঘর থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখেন স্থানীয়রা। কিছু বোঝার আগেই আগুনের লেলিহান শিখা দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। আশেপাশে প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন ধরতে বেশি সময় লাগেনি। যেহেতু একেবারে ঘিঞ্জি এলাকা। গায়ে গায়ে সমস্ত বাড়িগুলি। ফলে চিৎকার চেঁচামেচি,, ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়।
সঙ্গে সঙ্গে দমকলের লোকজন গেলেও ঘিঞ্জি এলাকা বলে গাড়ি ঢোকানো সম্ভব হয়নি। পাইপে জল এনে তা দিয়েই আগুন নেভানোর কাজ চলে। স্থানীয় আবাসনগুলি থেকেও বালতি ভরে জল ঢালতে থাকেন মানুষ। সকলের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
কলুটোলা স্ট্রিটের অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতার ক্ষত এখনও ভীষণ দগদগে। দমকলের ২০ টি ইঞ্জিন পৌঁছে গিয়েছিল সেখানে। কিন্তু তারপরেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিলেন না দমকল কর্মীরা। গোটা বহুতলটিকে গ্রাস করেছিল আগুনের লেলিহান শিখা। সেই আতঙ্কের স্মৃতি উস্কে দিয়ে প্যারাডাইস সিনেমা হলের কাছে ৩০ নম্বর বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে আগুন লাগে চলতি সপ্তাহেই।
রাত ৯ টা নাগাদ এক বহুতলের বন্ধ অফিস থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। ধোয়াঁর ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। স্থানীয়দের একাংশ জানান, কালো ধোঁয়ার পাশাপাশি আগুনের শিখায় বেরোতে দেখা গিয়েছে কখনও কখনও। দুর্ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। শেষ পর্যন্ত দমকলের তিন ইঞ্জিনের বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।