RG Kar Medical College: আরজিকরে ঝুলে রয়েছে ৫০ হাজার শিশুর জন্মের শংসাপত্র! ডিসেম্বরে টিকাকরণ হলে কী হবে এদের?
Birth Certificate: ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া বার্থ সার্টিফিকেট বা জন্মের শংসাপত্রের সংখ্যা ৫০ হাজার।
কলকাতা: বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (RG Kar Medical College Hospital)। অব্যবস্থার আরেক নজির এবার শহরের এই প্রথম সারির মেডিকেল কলেজে। জন্মের দু’ তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও জন্মের শংসাপত্র পায়নি শিশুর পরিবার। এমনই অভিযোগ, পঞ্চাশ হাজার শিশুর পরিবারের। জন্মের শংসাপত্র না পেয়ে নাজেহাল পরিবার। অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছ’মাসের আগে এই শংসাপত্র পাওয়া যাবে না।
২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া বার্থ সার্টিফিকেট বা জন্মের শংসাপত্রের সংখ্যা ৫০ হাজার। হাসপাতালের একাংশও মেনে নিচ্ছে, এই সংখ্যাটা মোটেই স্বাভাবিক কোনও পরিসংখ্যান নয়। তা হলে কেন এতদিন ধরে আটকে এই প্রক্রিয়া? সূত্রের খবর, একটা সময় পুরসভা থেকে জন্মের শংসাপত্র দেওয়ার নিয়ম থাকলেও পরবর্তী কালে সে নিয়মে বদল আসে।
সিদ্ধান্ত নয়, এবার থেকে যে শিশু যে হাসপাতালে জন্মাবে, তারাই জন্মের শংসাপত্র দেবে। আর কলকাতা পুরসভার দায়িত্ব থাকবে না। ২০১৯ সাল থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আরজি কর কর্তৃপক্ষ ঠিকই করে উঠতে পারেনি এই শংসাপত্রে কে সই করবেন। ৯ মাস পর সিদ্ধান্ত হয় নার্সিং সুপার কৃষ্ণা সাহাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়। ঠিক হয়, তিনি বার্থ রেজিস্ট্রার হিসাবে কাজ করবেন।
যদিও ততদিনে ৫০ হাজার শিশুর শংসাপত্র বকেয়া। এই বিপুল সংখ্যক বকেয়া শংসাপত্র সই করাও চারটিখানি কথা নয়। ফলে তা এখনও শিশুর পরিবারের হাতে তুলে দিতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরিবারগুলির অভিযোগ, ‘আজ বলছে কাল এসো, কাল এলে কেউ বলছে দু’মাস পরে এসো। এরকম ভাবে ঘোরাচ্ছে। কাউকে আবার দেড় দু’মাস পর খবর নিতে বলেছে।’
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ১ অক্টেবর থেকে ঠিক করা হয়েছে নবজাতকের ছুটির দিনই হাতে শংসাপত্র পেয়ে যাবে পরিবার। কিন্তু তার আগে যে ৫০ হাজারের বেশি শংসাপত্র বকেয়া রয়েছে তা দিতে মাস ছয়েক সময় লেগে যাবে।
এদিকে ২ থেকে ১৮ বছরের শিশুদের করোনার যে টিকাকরণ, তা জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন পেয়ে গিয়েছে। যা খবর, ডিসেম্বরের মধ্যেই তা দেওয়া শুরু হয়ে যেতে পারে। তা হলে এই শিশুরা কী ভাবে টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করবে? বার্থ সার্টিফিকেট ছাড়া কো-উইনে কিসের ভিত্তিতে নাম তুলবে পরিবার।
গত মাসেই ‘টক টু কেএমসি’-তে আদি সপ্তগ্রামের এক ব্যক্তি ফোনে এই সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর তাঁর সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু তারপর থেকে মাসের পর মাস তিনি হাসপাতালে ঘুরলেও জন্মের শংসাপত্র পাননি। এ নিয়ে তাঁকে নানা অসুবিধার মধ্যেও পড়তে হচ্ছে। এই ফোন পাওয়ার পর ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে কথা বলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সে সমস্যার সমাধান করবেন। কিন্তু সমস্যার যে সমাধান হয়নি সাম্প্রতিক কালে উঠে আসা পরিসংখ্যান সেদিকেই আঙুল দেখাচ্ছে।
আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষের দিকে আঙুল উঁচিয়ে বিজেপি কর্মীরা, তুমুল ভাঙচুর, মারামারি! খণ্ডযুদ্ধ দাঁইহাটে