Calcutta High Court: রাতারাতি অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য, আদালতে স্বস্তি মৌলানা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের

Calcutta High Court: রাজ্য অপসারণের নির্দেশ দেওয়ার পর, চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সৈকত মিত্র। তাঁকে পুনরায় কাজে নিযুক্ত হওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

Calcutta High Court: রাতারাতি অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য, আদালতে স্বস্তি মৌলানা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজে যোগ দেবেন সৈকত মিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 04, 2022 | 11:58 AM

কলকাতা: মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে রাতারাতি অপসারণের নোটিস দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই সিদ্ধান্তকে খারিজ করে পুরনায় উপাচার্যকে কাজে যোগদানের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের এই নির্দেশে আদালতে কার্যত ধাক্কা খেল রাজ্য। স্বস্তি পেলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈকত মৈত্র। রাজ্যের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে আবেদন করেছিলেন সৈকত মিত্র। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। তিন সপ্তাহের মধ্যে সৈকত মৈত্রকে কাজে যোগদানের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ।

গত ২৯ জুলাই উপাচার্যকে অপসারণ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য সরকার। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কেন এ ভাবে রাতারাতি নোটিস দিয়ে সরানো হচ্ছে তাঁকে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সৈকত মিত্র। অবিলম্বে ওই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করার আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন সৈকত মৈত্র। তাঁর আবেদনকেই এ দিন মান্যতা দিল আদালত।

আদালতে সৈকত মিত্রের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য ও সৌম্য বসু। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, রাতারাতি রাজ্য কী ভাবে এমন একটি নোটিস দিতে পারে? রাজ্যের তরফে উল্লেখ করা হয়েছিল, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট, ২০০০ অনুসারে প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা আলাদা আইন রয়েছে। আইন অনুসারে উপাচার্যের ২ বছরের বেশি মেয়াদ থাকে না। সেই নিয়ম মেনে সরানো হয়েছে বলে দাবি করে রাজ্য।

অন্যদিকে সৈকত মিত্রের তরফে আইনজীবী উল্লেখ করেন, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট, ২০০০- এর পর এসেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট, ২০১৭ এসেছে। সেই আইন অনুসারে ২২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াগদ বাড়ানো হয়েছে, সৈকত মিত্রের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কেন? আইনজীবীদের সেই যুক্তি মেনে নিয়েই এ দিন সৈকত মিত্রকে পুনরায় নিযুক্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি।

চার বছর ধরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে কাজ করেছেন সৈকত মিত্র। ২০২১ সালে তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। এরপর ২৯ জুলাই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রাজ্য সরকার তাঁর অপসারণের নির্দেশ দেয়। সৈকত মিত্র আদালতের দ্বারস্থ হলে রাজ্যের কাছে অপসারণের কারণ জানতে চেয়েছিল আদালত। শুনানি শেষ হওয়ার পর খারিজ করা হল রাজ্যের নির্দেশ।