কলকাতা: ২০০৯ সাল থেকে যাদবপুর আসন তৃণমূলের দখলে। কিন্তু, প্রতিবার বদলেছে তৃণমূলের প্রার্থী। ফলে আসন তৃণমূলের দখলে থাকলেও সাংসদের নাম বদলেছে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকায়ও যাদবপুরে নতুন নাম তৃণমূলের। এক অভিনেত্রীর জায়গায় সুযোগ পেলেন আর এক অভিনেত্রী। মিমি চক্রবর্তীর জায়গায় এবার যাদবপুরে তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন সায়নী ঘোষ।
২০১৯ সালে যাদবপুরে মিমি চক্রবর্তীকে প্রার্থী করে চমক দিয়েছিল তৃণমূল। সিনেমা জগত থেকে রাজনীতির ময়দানে পা রাখা মিমি ভোট ময়দানে জিতে সংসদে পা রাখেন। কিন্তু, কিছুদিন আগেই তিনি জানিয়ে দেন, আর রাজনীতির ময়দানে থাকতে চান না। এই নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লেখেন তিনি। এমনকি, মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎও করেন। পরে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, “গালাগালি শোনার রুচি নেই আমারা। রাজনীতি আমার জন্য নয়।” তিনি ভোটে লড়তে চান না বলে মমতাকে জানান।
মিমির এই মন্তব্যের পরই প্রশ্ন উঠে, তাহলে কি এবার যাদবপুরে প্রার্থী বদল করবে তৃণমূল? বাস্তবে সেটাই হল। রবিবার ব্রিগেডে জনগর্জন সভা থেকে ৪২ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে তৃণমূল। যাদবপুর আসনে এবার মিমির জায়গায় প্রার্থী হচ্ছেন তৃণমূল যুবর রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। একুশের নির্বাচনে আসানসোল দক্ষিণে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, বিজেপির অগ্নিমিত্রা পালের কাছে হেরে যান। তারপরও রাজনীতির ময়দানে মাটি কামড়ে পড়ে থেকেছেন সায়নী। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, এবার তারই ফল পেলেন তিনি।
২০০৯ সাল থেকে যাদবপুর তৃণমূলের দখলে। তার আগেও কৃষ্ণা বসু এবং স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন। তবে ২০০৯ থেকে প্রতিবাদ এখানে প্রার্থী বদলেছে রাজ্যের শাসকদল। ২০০৯ সালে এই আসনে জেতেন কবীর সুমন। ২০১৪ সালে সুগত বসু তৃণমূলের সাংসদ হন। আর ২০১৯ সালে মিমি। ২০২৪ সালে যাদবপুরে ফের প্রার্থী বদল করল তৃণমূল। ফের কি যাদবপুর থাকবে তৃণমূলের দখলে? উত্তর পেতে লোকসভার ফল ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।