Load-Shedding in Bengal: ‘বাংলায় লোডশেডিং বলে কিছু নেই, শব্দটা চিরতরে মুছে গিয়েছে’, বললেন বিদ্যুৎমন্ত্রী
Load-Shedding in Bengal: অভিযোগ, বিক্ষোভের পরিস্থিতি সামাল দিতে গুলি চালায় পুলিশ। ঘটনায় আহত হন ২ জন। পুলিশের জিপেও ব্যাপক ভাঙচুর চলে বলে অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মালদহের মানিকচক এলাকা। ঘটনায় ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন।

কলকাতা: সূর্য ডুবলেই লোডশেডিং হয়ে যাচ্ছে ঘরে ঘরে। এমন অভিযোগ নিয়েই পথে নেমেছিলেন এলাকার লোকজন। সেই বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যখন রাজ্য তোলপাড়, তারই মধ্যে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস দাবি করলেন, লোডশেডিং-এর সঙ্গে এই ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই।
এদিন সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মালদহের রতুয়া ও মানিকচক এলাকা। মানিকচকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগ উঠেছে। গ্রামবাসীদের দাবি, মানিকচকের কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিদ্যুৎ পরিষেবা অত্যন্ত খারাপ। প্রায় ২০ টি গ্রামে প্রত্যেকদিন দেখা যাচ্ছে, সন্ধ্যার পর থেকে কারেন্ট চলে যায়, পরের দিন দুপুরে আসে। সন্ধ্যা নামলেই কার্যত অন্ধকারে ডোবে গোটা গ্রাম। অভিযোগ, সেই বিক্ষোভের মাঝেই পুলিশ ২ রাউন্ড গুলি চালায়।
এই ঘটনার পর নবান্ন থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে পুলিশের কাছে। তারপরই বিবৃতি প্রকাশ করেন অরূপ বিশ্বাস। তিনি জানিয়েছেন, মালদহের ঘটনা দুঃখজনক, তবে লোডশেডিং-এর সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের কোথাও কোনও লোডশেডিং হয় না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার অভিধান থেকে লোডশেডিং শব্দটা চিরতরে মুছে দিয়েছেন।” রাজ্যে কোথাও এক মিনিটের জন্য লোডশেডিং হয় না বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
বিদ্যুৎমন্ত্রী জানাচ্ছেন, মালদহের মানিকচক এলাকার এনায়েতপুরে তিনটি টাওয়ার বসানো নিয়ে সমস্যা চলছে। প্রশাসন চেষ্টা করলেও মানুষ সহযোগিতা করছেন না বলে দাবি করেছেন তিনি। এই তিনটি টাওয়ার বসাতে পারলেই ওই এলাকায় উন্নত মানের বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছনো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
