CPIM: ‘পুলিশ উলঙ্গ হয়ে গিয়েছে, ডাহা ফেল’, লাল পতাকার ভিড় থেকে উর্দিধারীদের নিশানা সেলিমের
CPIM: মহম্মদ সেলিম বলেন, "উর্দি ইতিমধ্যেই ছেড়ে দিয়েছে। বাংলার পুলিশ, যাঁরা দালালি করছেন, সেই অফিসাররা উলঙ্গ হয়ে গিয়েছেন। নগ্ন হয়ে গিয়েছেন।"
কলকাতা : শহরের রাজপথে আবারও লাল স্রোত। সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিস এখানে। কিন্তু মঞ্চ থেকে যে আক্রমণ দেখা গেল, তাতে ইডি, সিবিআই-এর থেকে অনেক বেশি জায়গা জুড়ে থাকল রাজ্য পুলিশ। উল্লেখ্য, শুক্রবার বামেদের বড়সড় আকারে মঞ্চের অনুমতি দেয়নি রাজ্যের পুলিশ। মঞ্চের আকার ছোট। দেড় ফুট। কিন্তু লালে লাল গোটা চত্বর। ভিড় ছাপিয়ে গিয়েছে, আশপাশের বহুতলেও। পাঁচতলার ছাদ থেকেও উঠছে লাল পতাকা। মঞ্চে বসে সেই দৃশ্য নজর এড়ায়নি সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের। পাশে বসে থাকা বিমান বাবুকে ডেকেও সেই দৃশ্য দেখিয়েছেন তিনি। পরে বক্তৃতা দিতে উঠে আবারও সেই কথা স্মরণ করিয়ে দেন। বলেন, “দেড় ফুটের মঞ্চ বলেছিল। পাঁচ তলার উপরে উঠেছে। এরপর যদি বেশি কিছু বলেন, নবান্নের উপরে উঠে যাবে। যাঁরা পাঁচ তলায় উঠতে পারে, তাঁরা চোদ্দ তলাতেও উঠতে পারে।”
মঞ্চ থেকে ঝাঝাঁলো ভাষায় দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আক্রমণ করছিলেন সেলিম। বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন, দুর্নীতির ইস্যুতে কাউকে রেয়াত নয়। সেলিমের রক্ত গরম করা বক্তৃতায় তেঁতে উঠেছেন সামনে বসে থাকা দলীয় কর্মী ও সমর্থনরাও। ভিড় থেকে স্লোগান উঠল, ‘পুলিশ তুমি উর্দি ছাড়ো…’। তাঁদের থামিয়ে দিয়েই সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বলেন, “ছেড়ে দিন। উর্দি ইতিমধ্যেই ছেড়ে দিয়েছে। বাংলার পুলিশ, যাঁরা দালালি করছেন, সেই অফিসাররা উলঙ্গ হয়ে গিয়েছেন। নগ্ন হয়ে গিয়েছেন।”
পুলিশের উপর আক্রমণের সুর আরও চড়িয়ে সেলিম বলেন, “নিয়ম মানুন। নিয়মে চোর ধরো, জেল ভরো বলা যায়। আইন বলেছে। আইপিসি, সিআরপিসি বলছে। পুলিশের কাজ চোর ধরা। পুলিশ করছে না বলে আমরা তাঁদের বলে দিচ্ছি। আমরা পুলিশকে পড়া ধরছি… ১০ বছর ধরে কটা চোর, কটা দুর্নীতিবাজ ধরেছো? পুলিশ পুরো ডাহা ফেল।”
পরে শুক্রবার সন্ধেয় সাংবাদিক বৈঠক থেকেও একপ্রস্থ আক্রমণ শানান সেলিম। এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে আবারও নজরে পঞ্চায়েতের কথা উল্লেখ করে তিনি। কেউ নিজের নাম প্রকাশ না করেও সংশ্লিষ্ট এলাকায় সমস্যার কথা জানাতে পারবেন এর মাধ্যমে। এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে নজরে পঞ্চায়েতের ঘোষণা করেন মহম্মদ সেলিম। বলেন, “এখানে তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। কেউ কোনও তথ্য গোপনে দিতে চাইলে, তাও দিতে পারবেন। এর জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বর চালুর কথাও জানান তিনি। নম্বরটি হল ০৩৩ ৪১৮ ০৭৫ ০৬।