কলকাতা: সার্বিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ‘কালো’ টাকার খোঁজে নেমেছিল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার অপরাধের শিকড় খুঁজতে ময়দানে সিবিআই। গ্রেফতার করা হয়েছে সেই পার্থকেই। আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল অয়ন শীলকে। তাঁকেও শ্যোন অ্যারেস্ট করেছে সিবিআই। এরইমধ্যে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সূত্রের খবর, মানিক ভট্টাচার্য ও পার্থর ষড়যন্ত্রেই ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় পাশ না করা প্রার্থীরা চাকরি পায়। মানিক সশরীরে পার্থর কাছে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা তুলে দিয়েছিল। অয়ন শীলই মেল করে তালিকা সন্তু গাঙ্গুলিকে পাঠায়। সন্তু সেই তালিকা কুন্তলকে দেয়। অয়ন আট এজেন্টের মাধ্যমে ১.৬৭ কোটি টাকা তুলেছিল বলে খবর। সেই টাকা সন্তু গাঙ্গুলির কাছে গিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। এই সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে পার্থর জামিনের আশা অনেকটাই কমে গেল? ওয়াকিবহাল মহলের বড় অংশের মত খানিকটা তেমনই।
এদিকে সিবিআইয়ের হাতে পার্থ, অয়নের গ্রেফতারি নিয়ে বিস্তর চাপানউতোর চলে আদালতে। পার্থর আইনজীবী শ্যামল ঘোষ তো বারবার তাঁর মক্কেলের অসুস্থতার কথাও বলেন। শুনানি পিছিয়ে দেওয়ারও আর্জি জানান। এরইমধ্যে ‘অসুস্থ’ পার্থ জেল হাসপাতাল থেকে ভার্চুয়ালি বিচারকের সঙ্গে কথাও বলেন। অন্যদিকে অয়ন শীলের আইনজীবীও সিবিআইয়ের তীব্র সমালোচনা করেন। সাফ জানান এভাবে গ্রেফতারি সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। মার্চে গ্রেফতার করা হয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার এই অয়ন শীলকে।