
কলকাতা: পুজোর সরকারি অনুদানের হিসাব দিতে অনীহা উদ্যোক্তাদের। হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও হিসাব দিল না বড় অংশের পুজো। ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার সরকারি অনুদানের হিসাব দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সূত্রের খবর, কলকাতায় ২,৯৫৯ পুজোর মধ্যে হিসাব জমা দিয়েছে মাত্র ৬১৯টি পুজো। পুলিশের হিসাব বলছে এখনও অনুদানের হিসাব দেয়নি ২৩৪০টি পুজো কমিটি। হিসাব দেওয়ার নাকি সময় পাওয়া যায়নি, এমনই সাফাই দিচ্ছেন পুজো উদ্যোক্তারা।
চক্রবেড়িয়া সর্বজনীনের উদ্যোক্তা অসীম বসু বলেন, “পুজো চলে গেলে তো উদ্দীপনাটা আর থাকে না। খাটাখাটনির পর সবাই একটু রিল্যাক্সে চলে যায়। আমার মনে হয় সবাই দেবে। দিতে তো হবেই। সময়ের জন্য একটু দেরি হচ্ছে।” কেন্দুয়ার পুজো উদ্যোক্তা অভিজিৎ ঘোষ বলেন, “দুর্গাপুজোর পর কালীপুজো থাকে, তারপর জগদ্ধাত্রী পুজো থাকে। উৎসবের মরসুম চলছে তো। অনেকই ব্যস্ততার কারণে হয়তো জমা দিতে পারেননি। কিন্তু এমনটা নয় যে তাঁরা জমা দেবেন না। জমা না দিলে তো সামনের মতো অনুদা পাবেন না। হয়তো ব্য়স্ততার জন্য হিসাব দেওয়া সম্ভব হয়নি।”
চাপানউতোর চলছে প্রশাসনিক মহলেও। পুজোর খরচের হিসাব দেওয়া কমিটির নৈতিক দায়িত্ব, বলছেন মেয়র তথা চেতলা অগ্রণীর মূল উদ্যোক্তা ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথা, “সবাই দেবে। আসলে সংগঠিত ক্লাব খুব কম থাকে। শেষ পর্যন্ত তো সবাইকে তো দিতেই হবে পরের বছর অনুদান নিতে গেলে।” তবে হিসাব না দেওয়া দুর্ভাগ্যজনক বলেই মনে করছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কর্মকর্তা শ্বাশ্বত বসু বলছেন, “১৫ তারিখের মধ্যে তো দেওয়ার কথা ছিল। যদি কোনও ক্লাব না দিয়ে থাকে তাহলে সেটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। পুলিশের মিটিংয়েও বলা হয়েছিল ৩১ তারিখের মধ্যে তাঁরা রিপোর্ট দেবে।”