কলকাতা: শিশির অধিকারীর পথেই এ বার উত্তর দিতে এক মাস সময় চাইলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়। গত কাল রাতেই বিধানসভায় একটি চিঠি দিয়ে সময় চেয়েছেন তিনি। দলত্যাগ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে যে প্রশ্ন উঠেছে, মঙ্গলবারের মধ্যেই তার জবাব দেওয়ার কথা ছিল। সোমবার রাতেই তিনি চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন যে উত্তর দেওয়ার জন্য এক মাস সময় দেওয়া হোক তাঁকে।
কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায় গত ১১ জুন তৃণমূলে যোগ দেন। তারপরে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৬৪ পাতার একট আবেদন জমা দেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শুরু করেছেন অধ্যক্ষ। ইতিমধ্যেই দু’টি শুনানিও হয়েছে।
শুনানিতে স্থির হয়, ১৭ অগস্টের মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দিতে হবে মুকুলকে। সে ক্ষেত্রে ফুল বদলানো মুকুল সশরীরে বিধায়সভায় এসে তাঁর বক্তব্য রাখতে পারেন কিংবা চিঠি পাঠিয়েও বক্তব্য জানাতে পারেন। কিন্তু দুটির কোনোটাই করেননি মুকুল। অভিযোগের জবাব দিতে এক মাস সময় চেয়ে নিয়েছেন তিনি।
একইভাবে গত কয়েকদিন আগে শিশির অধিকারীও এরকমই একটি সিদ্ধান্ত নেন। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি পাঠিয়ে সময় চেয়ে নিয়েছেন সাংসদ তথা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপিতে যোগদানের অভিযোগ করেছে তৃণমূল। তা নিয়ে জোড়াফুল শিবির লোকসভার অধ্যক্ষকে একটি চিঠিও দিয়েছিল। তার প্রেক্ষিতেই কাঁথির সাংসদের জবাব চেয়েছিল লোকসভা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাঁর বক্তব্য জানানোর জন্য এক মাস সময় চেয়ে নেন শিশির।
এ দিকে, মুকুল কী জবাব দিচ্ছেন, তা জানতে উদগ্রীব ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। স্বাভাবিক ভাবেই মুকুলের সময় চাওয়ার পদক্ষেপে হতাশই হতে হয়েছে বঙ্গ বিজেপির অন্যতম মুখকে।
গত কয়েকদিনে বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্যে শিরোনামে এসেছেন মুকুল রায়। দিনকয়েক আগেই নিজের বিধানসভা কেন্দ্র কৃষ্ণনগর উত্তরে গিয়ে নিজেকে বিজেপি নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে মুকুল রায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, উপনির্বাচনে তৃণমূল পর্যুদস্ত হবে। তাঁর সেই মন্তব্য ভুলবশতই মুখ ফস্কে বেরিয়ে গিয়েছিল বলে পরবর্তী সময়ে দাবি করেন তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু। সেখানেই শেষ নয়। বিধানসভায় হাজির হয়ে মুকুল বলেন, বিজেপির টিকিটে উপনির্বাচনে দাঁড়ালে তিনি জয়লাভ করবেন। তাঁর এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলের ধোঁয়াশা বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট ছিল। পরে তিনি বলেন, ‘আমি এখন স্বাভাবিকভাবে পুরোপুরি তৃণমূলে আছি।’ আরও পড়ুন: আটকানোর আপ্রাণ চেষ্টা, কেড়ে নিল ব্যাগও, কাবুল থেকে কীভাবে উদ্ধার করা হল ভারতীয়দের?