কলকাতা: ১০৮টি পুরভোটের ফল প্রকাশ হয়েছে বুধবার। দিনভর উত্তর থেকে দক্ষিণ-বঙ্গে শুধু উড়েছে ঘাসফুলের পতাকা। সিপিএম তাও ধরে রেখেছে তাহেরপুর। অন্যদিকে দার্জিলিংয়ে নতুন সমীকরণের বার্তা নিয়ে উঠে এসেছে হামরো পার্টি। কিন্তু অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে এ রাজ্যের বিরোধী শক্তি হিসাবে যারা একুশের বিধানসভা ভোটে নিজেদের প্রমাণ করেছে, সেই বিজেপি একেবারে শূন্য। অর্জুন সিং, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারদের নিজের এলাকাতেও সবুজ আবির উড়ছে। এখানেই বিরোধীদের অভিযোগ তৃণমূল চাইছে বিরোধী শূন্য রাজনীতির দৃষ্টান্ত তৈরি করতে। যে কোনও উপায়েই তা তারা করে চলেছে। যদিও এ প্রশ্ন ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বীরভূমের পাঁচ পুরসভা দখলে রাখার ‘কারিগর’ অনুব্রত মণ্ডল।
অনুব্রত মণ্ডল টিভিনাইন বাংলাকে জানান, “যাদের সংগঠন নেই তারা ভোট করতে পারে না এটাই স্বাভাবিক। বোলপুর, বীরভূমে তো সিপিএম, কংগ্রেস প্রার্থী দিল বিজেপি কেন দিল না? কারণ ওদের কোনও লোকজন নেই। নেশাখোর, পাতাখোরদের নিয়ে ভোট হয় না। কিন্তু ওরা তাই করতে চেয়েছিল।”
অনুব্রত মণ্ডলের এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “কেন বিজেপি দিল না তা তো অনুব্রত মণ্ডলই বলতে পারবেন। ভোট তো গণতান্ত্রিক উপায়ে হয়নি, সংগঠনের জোরে হয়েছে। সংগঠন মানে তো ওদের পুলিশ নিয়ে, ঠ্যাঙারে, গুন্ডা নিয়ে সংগঠন। একদিন বাংলার মানুষ ওনার পিঠেও চরাম চরাম ঢাক বাজাবে।”
যদিও সজল ঘোষের পাল্টা অনুব্রত মণ্ডলের তোপ, “ওদের লোক নেই জন নেই বড় বড় কথা। বিজেপি আগে সংগঠন করুক। সিপিএম তো প্রত্যেক ওয়ার্ডে ভোট পেয়েছে। ওরা ১৯’এ ভুল করেছিল। এবার তা করেনি বলে ভোট পেয়েছে।” এরপরই বিজেপি নেতা সজল ঘোষের উদ্দেশে বীরভূমের ‘কেষ্ট’র স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে কটাক্ষ, “এরা সব পাগলের মত কথা বলে।”
আরও পড়ুন: CM Mamata Banerjee: ‘প্রয়োজনে যুদ্ধেও যেতে তৈরি’, বারাণসী যাওয়ার আগে বললেন মমতা